[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে হামলার নিন্দা জানাল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন

প্রকাশঃ
অ+ অ-
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন

শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুর পর সংবাদমাধ্যম প্রথম আলো, ডেইলি স্টার এবং সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ছায়ানটসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দপ্তর সম্পাদক শাহাদাত হোসেনের পাঠানো বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জুলাই ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান পরবর্তী নতুন বাংলাদেশে এ ধরনের পূর্বপরিকল্পিত ও ন্যাক্কারজনক ঘটনা অনভিপ্রেত এবং গভীর উদ্বেগের। আন্দোলন এসব ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, সাধারণ মানুষের সাংবিধানিক অধিকার, বিশেষত মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা এবং সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের স্বাধীনতা একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের মৌলিক ভিত্তি। তাই সংবাদমাধ্যম ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের ওপর হামলা সরাসরি মতপ্রকাশ ও সাংবাদিকতার স্বাধীনতার ওপর গুরুতর আঘাত। আন্দোলনের মতে, প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব আদর্শ, রাজনীতি ও চিন্তাধারা থাকতে পারে এবং তা নিয়ে মতভেদ ও সমালোচনা থাকলেও তা গণতান্ত্রিক উপায়ে প্রকাশ করতে হবে, কোনো সহিংসতা বা ধ্বংসযজ্ঞের মাধ্যমে নয়।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গতকাল ময়মনসিংহের ভালুকায় ধর্ম অবমাননার অভিযোগে দিপু চন্দ্র দাস নামের এক গার্মেন্টস শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যা করে গাছে ঝুলিয়ে আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া ঘটনা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। নিঃসন্দেহে ধর্ম অবমাননা চরম অন্যায় এবং ঘৃণ্য কাজ, তবে বিচার নিশ্চিত করার জন্য রয়েছে রাষ্ট্রীয় বিচারব্যবস্থা। সেই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অপরাধের বিচার হওয়া উচিত, নিজ হাতে আইন প্রয়োগ করা কখনো কাম্য নয়। আন্দোলন এই ঘটনাতেও গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।

শরিফ ওসমান হাদি বাংলাদেশপন্থী সাংস্কৃতিক লড়াই এবং আধিপত্যবাদবিরোধী সাংস্কৃতিক আন্দোলনের প্রতীক। তাঁর মৃত্যুর পর যখন দেশবাসীর ঐক্যবদ্ধ হওয়ার কথা, তখন একটি মহল পরিকল্পিতভাবে সংবাদমাধ্যম ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করতে চেয়েছে। এ ঘটনার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশকে উগ্র ও নিয়ন্ত্রণহীন রাষ্ট্র হিসেবে উপস্থাপনের চেষ্টা করা হচ্ছে। স্পষ্ট যে, এসব ঘটনায় যারা জড়িত তারা জুলাইবিরোধী শক্তি এবং এটি অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যর্থতারও বহিঃপ্রকাশ।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে, হামলায় জড়িতদের দ্রুত শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা এবং মিডিয়াসহ সব প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করতে।

’২৪ সালের জুলাই ছাত্র-জনতার রক্তাক্ত অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদমুক্ত নতুন বাংলাদেশ অর্জিত হয়েছে। এই অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা এবং শহীদ ওসমান হাদির স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য সকল ছাত্র-জনতা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। একই সঙ্গে মিডিয়াসহ সব সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান রক্ষায়ও জুলাইয়ের সকল ছাত্র-জনতাকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। দেশের এই সংকটময় পরিস্থিতিতে কেউ যেন জাতিকে বিভক্ত করতে না পারে, সেই বিষয়ে সকলকে সজাগ ও সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।

Fetching live reactions...
Was this article helpful?

Comments

Comments

Loading comments…
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন