[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

নাটোরে পায়ের রগ কাটা ও চোখ উপড়ানো লাশ উদ্ধারের ঘটনায় মামলা, কেউ গ্রেপ্তার হয়নি

প্রকাশঃ
অ+ অ-
নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার আগ্রান এলাকা থেকে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ঘটনাস্থলে স্থানীয় বাসিন্দাদের ভিড়। শনিবার সন্ধ্যায়  | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

নাটোরে নিখোঁজ এক তরুণের পায়ের রগ কাটা ও চোখ উপড়ানো লাশ উদ্ধারের ঘটনায় তার বন্ধুদেরসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়েছে। নিহতের মামা বাদী হয়ে আজ রোববার সকালে বড়াইগ্রাম থানায় মামলাটি দায়ের করেন। আজ বেলা ৩টা পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

শনিবার সন্ধ্যায় বড়াইগ্রামের আগ্রাণ এলাকার একটি গাছের শিকড়ের ভেতর থেকে সোহাগ হোসেন (২৫) নামের এক তরুণের রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি থানা মোড় এলাকার নাজমুল ইসলামের ছেলে। এর আগে বৃহস্পতিবর রাত থেকে সোহাগকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। ওই ঘটনায় তার মামা আবু হানিফ থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছিলেন।

বড়াইগ্রাম থানা সূত্রে জানা গেছে, আবু হানিফ মামলায় নিহতের বন্ধু ও প্রতিবেশী আকাশ হোসেন (২৭), তাঁর মা কহিনুর বেগম (৬২), ভাই ডাবলু (৪৫), লাভলু (৩৮) ও বোন নিপা খাতুন (৩৫)কে আসামি করেছেন। এছাড়া আরও অজ্ঞাতনামা ৪–৫ জন এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত আছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার রাত প্রায় ১২টার দিকে আকাশ হোসেন ট্রাকের বালু নামানোর কথা বলে সোহাগ হোসেনকে ডেকে নিয়ে যান। এরপর তিনি আর ফিরে আসেননি। পরের দিন নিহত সোহাগের মা পারভিন বেগম আসামিদের বাড়িতে গিয়ে ছেলের খোঁজ নেন, কিন্তু তারা খারাপ আচরণ করেন। পরে শুক্রবার আবু হানিফ থানায় জিডি করেন। শনিবার সকালে আগ্রাণ এলাকার একটি গাছের নিচ থেকে পায়ের রগ কাটা ও চোখ উপড়ানো অবস্থায় সোহাগের লাশ উদ্ধার হয়। বাদীর ধারণা, আসামিরা তার ভাগনেকে নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করেছেন।

বড়াইগ্রাম থানার ওসি আবদুস সালাম বলেন, মামলা হওয়ার আগে থেকেই পুলিশ সন্দেহভাজন আসামিদের ধরতে মাঠে নেমেছে। আজ বেলা ৩টা পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। তবে শিগগিরই আসামিরা ধরা পড়বে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে হত্যার উদ্দেশ্য জানা যাবে।

Fetching live reactions...
Was this article helpful?

Comments

Comments

Loading comments…
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন