মির্জা আব্বাসকে নিয়ে ‘মিথ্যা সংবাদ’ প্রচারের অভিযোগে মামলা
![]() |
| দৈনিক আজকের কণ্ঠ অনলাইন নিউজ পোর্টালে প্রকাশিত খবরের স্ক্রিনশট |
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ঢাকা-৮ আসনে দলটির মনোনীত প্রার্থী মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে চাঁদা দাবি ও মানহানির অভিযোগে ঢাকার আদালতে মামলা করা হয়েছে। আসামির তালিকায় রাখা হয়েছে দৈনিক আজকের কণ্ঠ ও পত্রিকাটির সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অ্যাডমিনসহ অজ্ঞাতনামা সহযোগীদের। অভিযোগ করা হয়েছে, শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনায় মির্জা আব্বাসকে জড়িয়ে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।
ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জশিতা ইসলামের আদালতে রোববার ঢাকা আইনজীবী সমিতির সদস্য মোহাম্মদ সাদিকুর রহমান ভূঁইয়া মামলা করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি রেকর্ড করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)-কে তদন্তের নির্দেশ দেন।
বাদীর আইনজীবী সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেন, ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদি দুর্বৃত্তের গুলিতে আহত হওয়ার পর একই আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী মির্জা আব্বাসকে নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছেন আসামিরা।
অভিযোগে বলা হয়েছে, হাদির গুলিবিদ্ধের ঘটনা নিয়ে মির্জা আব্বাসের কাছ থেকে অবৈধ সুবিধা আদায়ের উদ্দেশ্যে তার ব্যক্তিগত চরিত্র ও আচরণ নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। এ উদ্দেশ্যে ১২ ডিসেম্বর বেলা ৩টা ২৫ মিনিটে দৈনিক আজকের কণ্ঠের অনলাইন পোর্টালে ‘মির্জা আব্বাসের ক্যাডারদের গুলিতে ওসমান হাদি’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
মামলার আরজিতে বলা হয়েছে, মির্জা আব্বাসের ব্যক্তিগত চরিত্র ও আচরণ নিয়ে মিথ্যা তথ্য দিয়ে নির্বাচনের ফলাফল প্রভাবিত করার উদ্দেশ্য নিয়ে ওই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে।
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান হাদিকে গত শুক্রবার ঢাকার বিজয়নগরে গুলি করে পালিয়ে যায় মোটরসাইকেল আরোহী দুই ব্যক্তি। মাথায় গুলিবিদ্ধ হাদি এখন হাসপাতালে সংকটাপন্ন অবস্থায় রয়েছেন। হামলাকারী হিসেবে একজনকে চিহ্নিত করে তার তথ্য পেতে ৫০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছে সরকার।
আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য সংসদ নির্বাচন ও গণভোট ব্যাহত করতেই ওসমান হাদির ওপর হামলা হয়েছে বলে মনে করছে অন্তর্বর্তী সরকার। জুলাই অভ্যুত্থানে সক্রিয় অংশগ্রহণকারী হাদির ওপর এই হামলার প্রতিবাদে বিএনপিও গতকাল সমাবেশ করেছে, যেখানে মির্জা আব্বাসও বক্তব্য দেন।

Comments
Comments