[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

প্রথম আলো, ডেইলি স্টার অবশ্যই বন্ধ করতে হবে: রাকসুর ভিপি

প্রকাশঃ
অ+ অ-
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের ভিপি ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোস্তাকুর রহমান | ছবি: সংগৃহীত

দেশের শীর্ষস্থানীয় বাংলা দৈনিক প্রথম আলো এবং ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টার বন্ধ করে দিতে হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (রাকসু) সহসভাপতি (ভিপি) ও ছাত্রশিবির নেতা মোস্তাকুর রহমান।

গত বৃহস্পতিবার রাতে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর রাজশাহীতে বিক্ষোভ মিছিলের পর এক সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। মোস্তাকুর রহমান বর্তমানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের সভাপতির দায়িত্বেও আছেন। তাঁর এই বক্তব্যের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।

বিক্ষোভ সমাবেশে মোস্তাকুর রহমান বলেন, ‘আমরা আজকের এই প্রোগ্রাম থেকে ঘোষণা দিচ্ছি, প্রথম আলো, ডেইলি স্টারসহ এসব সুশীল সংবাদপত্র অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। আমরা মনে করি, এই প্রোগ্রামে যদি প্রথম আলো বা ডেইলি স্টার পত্রিকার কোনো সাংবাদিক আসেন, তাহলে এখনই এখান থেকে চলে যাবেন।’

বৃহস্পতিবার রাতে রাজশাহী থেকে সংবাদপত্র দুটি বন্ধের এই হুমকি দেওয়ার কিছু সময় আগেই ঢাকায় প্রথম আলোর কার্যালয়ে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। হামলাকারীরা কার্যালয়ের ভেতরে ঢুকে ভাঙচুর ও লুটপাট চালায় এবং আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে সন্ত্রাসীদের একটি অংশ ঢাকার কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউয়ে অবস্থিত ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভবনটিতে আগুন দেয়। সে সময় ডেইলি স্টারের বহু কর্মী ভেতরে আটকা পড়েন। কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা তাঁদের উদ্ধার করেন।

বিক্ষোভ সমাবেশে মোস্তাকুর রহমান আরও বলেন, ‘আমরা ঘোষণা দিচ্ছি, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শিক্ষক ক্লাসে আসতে পারবে না। আমরা ঘোষণা দিচ্ছি, হাদি ভাইয়ের রক্ত থেকে লক্ষ হাদি জন্ম নেবে, ইনশা আল্লাহ। বাংলাদেশে ভারতীয় হাইকমিশন মাত্র দুইটি। তার একটি রাজশাহীতে। আমরা বলব, রাজশাহীতে ভারতীয় হাইকমিশন উচ্ছেদ করে দিতে হবে।’

রাকসুর ভিপির এই বক্তব্যের সমালোচনা করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুস সবুর তাঁর ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘তিনি রাকসুর ভিপি হিসেবে কথা বলছেন, নাকি শিবিরের সভাপতি হিসেবে—এটা স্পষ্ট হওয়া দরকার। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অন্তত এটুকু বুঝুক, তাঁদের নির্বাচিত প্রতিনিধির অবস্থান কী। রাকসু ও ডাকসুর ভিপিরা যে বক্তব্য দিচ্ছেন, তা কি জনতাকে উসকানি দেওয়া নয়?’

গত বৃহস্পতিবার রাতে শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি ক্যাম্পাসের শহীদ শামসুজ্জোহা চত্বর থেকে শুরু হয়ে ঢাকা–রাজশাহী মহাসড়ক হয়ে নগরের সাহেববাজার জিরো পয়েন্টে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করা হয়। একপর্যায়ে রাকসুর সাধারণ সম্পাদক (জিএস) সালাহউদ্দিন আম্মার আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভেঙে সেখানে পাবলিক টয়লেট স্থাপনের ঘোষণা দেন। পরে বুলডোজার দিয়ে কার্যালয়টি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।

এদিকে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি মেঘমল্লার বসু তাঁর ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘রাকসুর শিবির বলছে প্রথম আলো, ডেইলি স্টার বন্ধ করতে হবে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিবির বলছে বাম, শাহবাগী, ছায়ানট, উদীচী সব তছনছ করে দিতে হবে। অন্যদিকে নায়েবে আমির এসব ঘটনায় ব্যথিত হওয়ার কথা বলবেন। কেউ বলবেন, একটি উসকানিদাতা গোষ্ঠী এসব করছে। ডাকসুর প্যাডে বিবৃতি দিয়ে নিন্দা জানানো হবে। এই একই চিত্র বারবার ফিরে আসবে, আর আমরা ধইঞ্চার মতো তা দেখেই যাব।’

Fetching live reactions...
Was this article helpful?

Comments

Comments

Loading comments…
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন