[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

বিমান দুর্ঘটনায় আহত মাইলস্টোনের যমজ দুই বোন সাড়ে তিন মাস পর ফিরল বাড়ি

প্রকাশঃ
অ+ অ-
জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের পরিচালকের কার্যালয়ে সারিনাহ জাহান সায়রা ও সাইবাহ জাহান সায়মাকে বিদায় জানান হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ও কর্মচারীরা। ১২ নভেম্বর | ছবি: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং

জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে সাড়ে তিন মাস চিকিৎসাধীন থাকার পর বাড়ি ফিরেছে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের আহত দুই শিক্ষার্থী, ১০ বছর বয়সী যমজ বোন সারিনাহ জাহান সায়রা ও সাইবাহ জাহান সায়মা। সায়রার ৩০ শতাংশ ও সায়মার ১৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল।

আজ বুধবার সকালে ইনস্টিটিউটের পরিচালকের কার্যালয়ে তাদের বিদায় জানান হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ও কর্মচারীরা। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

গত ২১ জুলাই উত্তরার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসের হায়দার আলী ভবনে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। এতে বিমানের পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মো. তৌকির ইসলামসহ অন্তত ৩৪ জন নিহত হন। নিহতদের মধ্যে ২৭ জনই ওই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ছিলেন। আহত হন ১২৪ জন। আহতদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ৩৩ জন জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরেছেন।

বিদায় অনুষ্ঠানে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের পরিচালক মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন বলেন, ‘মাইলস্টোন স্কুলের বিমান দুর্ঘটনায় আহত ৫৭ জন এই ইনস্টিটিউটে চিকিৎসা নিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ২০ জন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। একজনকে ট্রমা ম্যানেজমেন্টের জন্য মানসিক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তিনজন এখনো চিকিৎসাধীন, তবে তাঁরা আশঙ্কামুক্ত।’

নাসির উদ্দিন ইনস্টিটিউটের চিকিৎসক, নার্স ও কর্মীদের ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, তাঁরা দগ্ধ রোগীদের আন্তরিকভাবে সেবা দিয়েছেন এবং কঠোর পরিশ্রম করেছেন। সরকারের পক্ষ থেকেও সর্বোচ্চ সহযোগিতা দেওয়া হয়েছে।

আহতদের মধ্যে যারা বাড়ি ফিরেছেন, তাঁদের সঙ্গে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে এবং ফলোআপ চিকিৎসা দিচ্ছে বলে জানান নাসির উদ্দিন। তিনি সিঙ্গাপুর, ভারত, চীন ও যুক্তরাজ্যের চিকিৎসকদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানান, যাঁরা আহতদের চিকিৎসায় সহযোগিতা করেছেন।

সায়রা ও সায়মার বাবা ইয়াসিন মজুমদার ও মা আকলিমা আক্তার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের আন্তরিকতা ও অন্তর্বর্তী সরকারের সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। 

একটি মন্তব্য করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন