নাটোর–১: মনোনয়ন বঞ্চিত নেতার সমর্থকেরা রেললাইনে শুয়ে প্রতিবাদ

নাটোরের লালপুর উপজেলার আজিমনগর রেলস্টেশন সংলগ্ন গোপালপুর রেলগেটে মনোনয়ন বঞ্চিত তাইফুল ইসলামের সমর্থকরা রেললাইনে শুয়ে নাটোর-১ আসনে দলের মনোনয়ন বদলের দাবি জানান। বুধবার সন্ধ্যায় | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

নাটোর-১ (লালপুর-বাগাতিপাড়া) আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে রেললাইনে শুয়ে বিক্ষোভ করেছেন মনোনয়নবঞ্চিত নেতার কর্মী ও সমর্থকরা। বুধবার সন্ধ্যায় লালপুর উপজেলার আজিমনগর রেলস্টেশনে এ ঘটনা ঘটে।

বিএনপি কর্মীরা জানান, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য নাটোর-১ আসনে প্রয়াত নেতা ফজলুর রহমান পটলের মেয়ে ফারজানা শারমিন পুতুলকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। এতে তাঁর সহোদর ও মনোনয়নপ্রত্যাশী চিকিৎসক ইয়াসির আরাফাত (রাজন)-এর সমর্থকেরা সোমবারই ব্যাপক বিক্ষোভ দেখান।

বুধবার সন্ধ্যায় অপর মনোনয়নপ্রত্যাশী কেন্দ্রীয় কমিটির সহদপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপুর কয়েক শত সমর্থক আজিমনগর রেলস্টেশনে জড়ো হয়ে রেললাইনে শুয়ে পড়ে প্রায় এক ঘণ্টা রেলপথ অবরোধ করেন। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।

বিকেল চারটায় তাইফুল ইসলামের কর্মী-সমর্থকরা গোপালপুর থেকে লালপুর মহিলা ডিগ্রি কলেজ চত্বর হয়ে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি গোপালপুর বাজার হয়ে আজিমনগর রেলস্টেশন সংলগ্ন রেলগেটে গিয়ে শেষ হয়।

রেলপথ অবরোধের সময় বক্তব্য দেন গোপালপুর পৌর বিএনপির সাবেক জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম রানা, উপজেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ওয়াহেদুজ্জামান সরকার, উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুর রহমানসহ অন্যান্য নেতারা। তাঁরা অভিযোগ করেন, কেন্দ্রীয় নেতারা তৃণমূলের মতামত উপেক্ষা করে ফারজানা শারমিনকে মনোনয়ন দিয়েছেন। তাই তাঁর মনোনয়ন বাতিল করে তাইফুল ইসলামকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবি জানান।

তাইফুল ইসলাম বলেন, 'আমি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সভাপতি ছিলাম। দীর্ঘদিন জেল-জুলুম সহ্য করে বিএনপি করেছি। দলের কেন্দ্রীয় দায়িত্ব নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করেছি। স্বাভাবিকভাবেই নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা আমাকে নাটোর-১–এর প্রার্থী হিসেবে দেখতে চান। হয়তো এ কারণে তাঁরা মনোনয়ন বদলের দাবি করছেন।' 

মনোনয়ন পাওয়ার পর ফারজানা শারমিন বলেন, 'আমার ছাড়াও যাঁরা মনোনয়ন চেয়েছেন, তাঁরা সবাই যোগ্য। কিন্তু এক আসন থেকে একজনকেই দল মনোনয়ন দেবে। অন্যদের উচিত দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে আমাকে সহযোগিতা করা। আমি আশা করি, বিক্ষোভকারীরাও একসময় আমার পাশে থাকবেন।'