ইসলামকে ব্যবহার করে জাতিকে বিভক্ত করতে চায় এক দল: সালাহউদ্দিন আহমদ

নারায়ণগঞ্জের মাসদাইর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে আজমতে সাহাবা সম্মেলনে বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। শনিবার বিকেলে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, 'নির্বাচনের আগে একটি রাজনৈতিক দল রাজনীতির স্বার্থে ইসলামকে বারবার ব্যবহার করে জাতির মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি করতে চাইছে। তিনি বলেন, ‘তারা ইসলামের ক্ষতি করতে চায়। তাদের কাছ থেকে আমাদের দূরে ও সাবধান থাকতে হবে।’

শনিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ শহরের মাসদাইর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে আয়োজিত আজমতে সাহাবা সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সম্মেলনের আয়োজন করে কাসেমী পরিষদ। সভাপতিত্ব করেন মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী।

সালাহউদ্দিন আহমদ সরাসরি নাম না বললেও ইঙ্গিত দেন, দলটি জামায়াতে ইসলামী। তিনি বলেন, ‘আমরা মদিনার ইসলামে বিশ্বাসী। রাসুল (সা.) যে ইসলামের প্রবর্তন করে গেছেন, সাহাবায়ে কেরাম যে ইসলামের অনুশীলন করেছেন, আমরা সেই ইসলামের অনুসারী। এখানে আমরা কেউ মওদুদি ইসলামের অনুসারী নই। সুতরাং যারা ফিতনা তৈরি করে মুসলমানদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে চায়, তাদের কাছ থেকে সাবধান থাকতে হবে।’

এক সময়ের জোটসঙ্গী জামায়াতের সঙ্গে জুলাই অভ্যুত্থানের পর বিএনপির দূরত্ব বেড়েছে। সংবিধান সংস্কার ও গণভোট ইস্যুতে এখন দুই দল মুখোমুখি অবস্থানে।

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচনা করে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘বিগত ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকার, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার সরকার বাংলাদেশে ইসলামবিদ্বেষী, আলেমবিদ্বেষী রাজনীতি করেছে। তারা মুসলিমবিদ্বেষী সরকার ছিল। নিজেদের স্বার্থে ইসলামবিদ্বেষী ও আলেম নির্যাতনের রাজনীতি করেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের আগামী দিনে আদর্শিক ও ভালো রাজনীতির চর্চার মাধ্যমে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী রাজনীতি ও অপরাজনীতির সংস্কৃতি বিলুপ্ত করতে হবে। আদর্শিক ও সঠিক রাজনীতির মাধ্যমেই দেশে সুস্থ রাজনৈতিক সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠিত হতে পারে।’

সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন আওলাদে রাসুল সাইদ আল হোসাইনী (পাকিস্তান), খলিল আহমাদ কুরাইশী, জুনায়েদ আল হাবিব, আজিজুল হক ইসলামাবাদী, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মামুন মাহমুদ, যুগ্ম আহ্বায়ক মাশুকুল ইসলাম, বিএনপি নেতা মোহাম্মদ মাসুদুজ্জামান, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন, সদস্য আবু আল ইউসুফ ও মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি মাকছুদুল আলম খন্দকার।