[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

প্রাথমিক শিক্ষকের একাংশ পরীক্ষা বর্জনের হুমকি, অন্য অংশ পরীক্ষা নেবেন

প্রকাশঃ
অ+ অ-

ফাইল ছবি

সহকারী শিক্ষকদের বেতন ‘আপাতত’ ১১তম গ্রেড দেওয়াসহ তিন দফা দাবিতে প্রাথমিক শিক্ষকদের একাংশ কর্মবিরতি পালন করছেন। এই কর্মসূচি ‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ’–এর ব্যানারে চলছে। সংগঠনের নেতা মোহাম্মদ শাসছুদ্দীন জানান, আজ রোববারের মধ্যে দাবি পূরণের ব্যবস্থা না হলে আগামীকাল সোমবার শুরু হওয়া বার্ষিক পরীক্ষা বর্জন করবেন তারা।

অন্যদিকে সহকারী শিক্ষকদের আরেক অংশ, সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদের সদস্যরা বার্ষিক পরীক্ষা নেবেন। এই অংশ ২৩ থেকে ২৭ নভেম্বর কর্মবিরতির কর্মসূচি পালন করেছেন। সহকারী শিক্ষকদের বেতন ১১তম গ্রেডসহ তিন দফা দাবি আদায়ে এই অংশ আগামী ১১ ডিসেম্বর থেকে অনশন কর্মসূচি শুরু করবেন। তবে অপর অংশের দাবি ও কর্মসূচির প্রতি নৈতিক সমর্থনও রয়েছে বলে ঐক্য পরিষদের এক নেতা জানিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মূল বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হবে আগামীকাল ১ ডিসেম্বর।

সারা দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৬৫ হাজার ৫৬৯টি। এসব বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা এক কোটির বেশি। শিক্ষক রয়েছেন প্রায় চার লাখ। সহকারী শিক্ষকের অনুমোদিত পদ ৩ লাখ ৬৯ হাজার ২১৬টি, বর্তমানে কর্মরত ৩ লাখ ৫২ হাজার ২০৮ জন।

বর্তমানে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকেরা জাতীয় বেতন স্কেলের ১৩তম গ্রেডে আছেন, যেখানে শুরুর মূল বেতন ১১ হাজার টাকা। সহকারী শিক্ষকদের বেতন গ্রেড ১০ম করাসহ তিন দফা দাবিতে তারা এ মাসের শুরুতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান ও বিদ্যালয়ে কর্মবিরতি শুরু করেছিলেন।

আন্দোলন চলাকালেই অর্থ বিভাগের সচিব এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিবের সঙ্গে বৈঠকের পর আন্দোলনকারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকেরা আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন। সরকার জানিয়েছিল, সহকারী শিক্ষকদের বেতন ১১তম গ্রেড করার বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাব জাতীয় বেতন কমিশনে পাঠানো হয়েছে, যা বিবেচনাধীন। কমিশনের সুপারিশ পাওয়ার পর অর্থ বিভাগ এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করবে।

শিক্ষকদের ১০ ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড পাওয়ার জটিলতার বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রস্তাব পাঠালে অর্থ বিভাগ বিষয়টি পর্যালোচনা করবে। এছাড়া শিক্ষকদের শতভাগ পদোন্নতির বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিদ্যমান বিধিমালার আলোকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় পদক্ষেপ নেবে। এই প্রক্রিয়ার পর শিক্ষকরা তাদের কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছিলেন। তবে এর ভিত্তিতে কিছু শিক্ষক দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েছিলেন এবং এখন আবার একাংশ কর্মবিরতি শুরু করেছেন।

একটি মন্তব্য করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন