মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ
![]() |
| বিদ্যুৎ গ্রাহকের বিরুদ্ধে মামলা ও প্রিপেইড মিটার স্থাপনের প্রতিবাদে মানববন্ধনে অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
পাবনার ঈশ্বরদীতে প্রিপেইড মিটার বিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী ২০১ বিদ্যুৎ গ্রাহকের বিরুদ্ধে ‘হয়রানিমূলক’ মামলা দায়েরের প্রতিবাদে নেসকোর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ঈশ্বরদী বাজারের প্রধান ফটকের সামনে দুই ঘণ্টা ব্যাপী এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বাজার ও স্টেশন সড়কসহ পুরো শহর উত্তাল হয়ে ওঠে, সর্বস্তরের মানুষ এতে অংশ নেন।
‘ঈশ্বরদী সচেতন নগরবাসী’ ব্যানারে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। তারা পথসভা এবং দীর্ঘ মানববন্ধনের মাধ্যমে প্রতিবাদ জানান।
পথসভা থেকে বক্তারা আগামী তিন দিনের মধ্যে ২০১ বিদ্যুৎ গ্রাহকের নামে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, প্রিপেইড মিটার প্রকল্প বাতিল, নেসকোর নির্বাহী প্রকৌশলীর বদলি ও অপসারণ এবং মিটার রিডার নজরুল ইসলামকে গ্রেপ্তারের দাবি জানান। অন্যথায় ঈশ্বরদীতে হরতালসহ কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তারা।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রনেতা মাহবুবুর রহমান পলাশ, ঈশ্বরদীর সচেতন নাগরিক ফোরামের আহ্বায়ক অধ্যাপক আ. ফ. ম. রাজিবুল আলম ইভান, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংগঠন নোঙরের সভাপতি হাসানুজ্জামান, ঈশ্বরদী সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদের সহসভাপতি জাহিদুল আলম সনু, ঈশ্বরদী প্রেসক্লাবের সভাপতি রেজাউল করিম শাহীন, পৌর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আতাউর রহমান পাতা, আমিনুর রহমান স্বপন, শিল্প ও বণিক সমিতির সভাপতি মো. নান্নু রহমান, সাবেক পৌর কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন জনি এবং ব্যবসায়ী আকরাম রায়হান বাবু।
মাহবুবুর রহমান পলাশ বলেন, 'আমরা বিদ্যুৎ গ্রাহক হিসেবে ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন করছি। আমরা প্রিপেইড মিটার চাই না। দাবি জানাতে গিয়ে নেসকো কর্মকর্তারা আমাদের সঙ্গে দমনমূলক আচরণ করেছেন। এছাড়া ২০১ জন গ্রাহকের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা হয়েছে। দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চলবে।'
উল্লেখ্য, গত বুধবার প্রিপেইড মিটার বিরোধী গ্রাহকরা নেসকো অফিস ঘেরাও এবং পথসভা করেছেন। ওই সময় নেসকো কর্মকর্তাদের সঙ্গে গ্রাহকদের মধ্যে তর্ক ও বচসা হয়। পরবর্তীতে অফিস ভাঙচুরের অভিযোগে নেসকোর নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুর নূর আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক অধ্যাপক আ. ফ. ম. রাজিবুল আলম ইভানসহ অজ্ঞাত ২০১ জনের বিরুদ্ধে ঈশ্বরদী থানায় মামলা দায়ের করেন। এতে সাধারণ মানুষ ও গ্রাহকদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন