[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

ঢাকার আদালতে হট্টগোল, আসামিপক্ষের আইনজীবীকে হেনস্তা

প্রকাশঃ
অ+ অ-
আইন ও আদালত | প্রতীকী ছবি

ঢাকার একটি আদালতে আসামিপক্ষের আইনজীবীর শুনানির সময় হট্টগোলের ঘটনা ঘটেছে। একপর্যায়ে ওই আইনজীবীকে আদালতকক্ষ থেকে বের করে দেওয়া হয়। বুধবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শহীদুল ইসলামের আদালতে এ ঘটনা ঘটে।

রাজধানীর পল্টন থানার একটি মামলায় নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি বরিকুল ইসলাম বাঁধনসহ সাতজন আসামিকে বুধবার আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় পুলিশ তাঁদের প্রত্যেকের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করে।

বরিকুল ইসলামের আইনজীবী এ এস এম আলী হায়দার শুনানিতে অংশ নেন। শুনানির একপর্যায়ে তিনি বিচারকের উদ্দেশে বলেন, ‘একটা সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মামলার অনেক গতি ছিল। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই মামলাগুলো এখন স্তিমিত হয়ে গেছে। আমরা দেখেছি, অনেকেই সেই মামলা থেকে নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। ভবিষ্যতে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলাতেও অনেকে নাম প্রত্যাহার করবেন। আমরা দেখেছি, এর পেছনে টাকার লেনদেনও হয়েছে।’

তাঁর বক্তব্যের পর রাষ্ট্রপক্ষের কয়েকজন আইনজীবী আপত্তি জানিয়ে বলেন, ‘আপনি এটা কী বলছেন? এটা মুছে ফেলুন।’ তখন আসামিপক্ষের আইনজীবী নিজের বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিতে চান। কিন্তু রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা তাঁকে সেই সুযোগ দেননি। একপর্যায়ে তাঁকে এজলাস থেকে বের করে দেওয়া হয়। এতে আদালতকক্ষে হট্টগোলের পরিস্থিতি তৈরি হয়। পরে কয়েকজন জ্যেষ্ঠ আইনজীবীর হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

এরপর অন্য আসামিদের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল ও জামিনের আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ রিমান্ডের পক্ষে যুক্তি দেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত প্রত্যেক আসামির ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গত শুক্রবার রাজধানীর বিজয়নগর পানির ট্যাংকি এলাকায় নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা মিছিল করেন। সে সময় ঘটনাস্থল থেকে বরিকুল ইসলামসহ ১৩ জনকে আটক করে পুলিশ। পরে তাঁদের বিরুদ্ধে পল্টন থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করা হয়। তাঁদের মধ্যে সাতজনকে আজ ওই মামলায় আদালতে হাজির করা হয়।

একটি মন্তব্য করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন