শিক্ষকসমাবেশে সাউন্ড গ্রেনেডে আহত শিক্ষকের ঢাকায় মৃত্যু
![]() |
| ফাতেমা আক্তার | ছবি: সংগৃহীত |
প্রাথমিক শিক্ষকদের দশম গ্রেড বাস্তবায়নসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলনে অংশ নেওয়া আহত সহকারী শিক্ষক ফাতেমা আক্তার (৪৫) মারা গেছেন। আহত হওয়ার ১০ দিন পর রোববার সকালে ঢাকার মিরপুরের এক হাসপাতালে ওই শিক্ষকের মৃত্যু হয়।
ফাতেমা চাঁদপুরের মতলব উত্তরের ঝিনাইয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ছিলেন। তিনি মতলব উত্তর উপজেলার ঘনিয়ারপাড় গ্রামের সুরুজ মোল্লার মেয়ে ও ঠাকুরচর গ্রামের স্কুলশিক্ষক ডি এম সোলেমানের স্ত্রী। তিনি দুই সন্তানের মা ছিলেন।
রাতে মতলব উত্তরের ঠাকুরচর গ্রামে জানাজা শেষে ফাতেমার লাশ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। জানাজায় সহকর্মী শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্থানীয় লোকজন অংশ নেন।
মতলব উত্তরের আমিয়াপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা একসঙ্গে আন্দোলনে ছিলাম। তিনি ৮ নভেম্বর শাহবাগে সাউন্ড গ্রেনেডের শব্দে আতঙ্কগ্রস্ত হন। হাসপাতালে নেওয়া হলে একপর্যায়ে কথা বলাই বন্ধ হয়ে যায়। তাঁকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। গতকাল সকাল ১০টার দিকে তিনি মারা যান।’
ডি এম সোলেমান বলেন, স্ত্রীকে হারিয়ে তিনি, তাঁর দুই সন্তান ও স্বজনেরা শোকাহত। এ মৃত্যু মেনে নেওয়া কষ্টকর। আন্দোলনে গিয়ে এভাবে তাঁর স্ত্রী শেষ হয়ে যাবেন, তা ভাবেননি। এখন তিনি একা হয়ে গেলেন।
মতলব উত্তর উপজেলার সহকারী প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি আবদুল বাতেন ও মতলব দক্ষিণ উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাসান মামুন তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মতলব উত্তর থানার পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) প্রদীপ মণ্ডল শিক্ষক ফাতেমার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন