ঈশ্বরদীতে ২০১ বিদ্যুৎ গ্রাহকের বিরুদ্ধে মব সৃষ্টির মামলা
| মামলা | গ্রাফিকস: পদ্মা ট্রিবিউন |
পাবনার ঈশ্বরদীতে প্রিপেইড মিটারবিরোধী আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে ‘মব সৃষ্টির’ অভিযোগে ২০১ জনের নামে মামলা করা হয়েছে। মামলাটি বৃহস্পতিবার রাতে ঈশ্বরদী থানায় দায়ের করা হয়। মামলার বাদী হয়েছেন নেসকো ঈশ্বরদী বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুর নূর।
প্রধান আসামি করা হয়েছে আন্দোলনের সমন্বয়কারী এবং পাকশী রেলওয়ে কলেজের শিক্ষক আ ফ ম রাজিবুল আলম ইভানকে। এছাড়া আরও ২০০ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি একই মামলায় আসামি করা হয়েছে।
মামলায় বলা হয়, গত বুধবার রাজিবুল আলম ইভানের নেতৃত্বে দুই শতাধিক ব্যক্তি অফিস চত্বরে ঢুকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। তারা প্রিপেইড মিটার স্থাপন বন্ধ ও বিদ্যমান মিটার খুলতে বাধ্য করেন। এ সময় অফিসের গ্লাসসহ অন্যান্য সরঞ্জাম ভাঙচুর করা হয়। ক্ষতির পরিমাণ ধরা হয়েছে ৬৫ হাজার টাকা।
নেসকো কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে কলেজশিক্ষকসহ ২০১ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হওয়ায় এলাকার গ্রাহকরা ক্ষুব্ধ। তাদের প্রতিবাদে আজ রোববার সকালে আবারও গ্রাহক সমাবেশ ও মানববন্ধন করার করেছে।
এ প্রসঙ্গে শুক্রবার সন্ধ্যায় আন্দোলনের আরও এক সংগঠক মাহবুবুর রহমান পলাশের সভাপতিত্বে ও আশিকুর রহমান লুলুর সঞ্চালনায় একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিতরা ২০১ জনের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার ও প্রিপেইড মিটার স্থাপন কাজ বন্ধ রাখার দাবি জানান।
ঈশ্বরদী থানার ওসি আব্দুন নূর মামলার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, 'প্রিপেইড মিটারবিরোধী আন্দোলনের দিন নেসকো অফিসে ভাঙচুর এবং নির্বাহী প্রকৌশলীকে হেনস্থার অভিযোগে ৬৫ হাজার টাকার ক্ষতির মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।'
উল্লেখ্য, প্রিপেইড মিটার বন্ধের দাবিতে গত বুধবার গ্রাহকরা ঈশ্বরদী বিদ্যুৎ অফিস ঘেরাও ও মানববন্ধন করেন। আন্দোলনকারীদের দাবির প্রেক্ষিতে নেসকোর নির্বাহী প্রকৌশলী প্রিপেইড মিটার স্থাপন স্থগিত রাখার একটি অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষর করেন। এ সময় অফিসে গ্রাহকদের সঙ্গে তাঁর বাক্যবিতণ্ডা হয়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন