আগুন নেভানোর পরও মিরপুরের রাসায়নিক গুদামে ধোঁয়া
![]() |
রাজধানীর মিরপুরের শিয়ালবাড়ির রাসায়নিকের গুদাম থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
আগুন লাগার ৪৮ ঘণ্টা পরও রাজধানীর মিরপুর শিয়ালবাড়ির রাসায়নিকের গুদাম থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে সরেজমিনে গুদামের ভেতর থেকে ধোঁয়া উঠতে দেখা গেছে। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা গুদামের ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করছেন।
ঘটনাস্থলে থাকা ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক কাজী নজমুজ্জামান বেলা ১১টার দিকে বলেন, ভেতরে বিভিন্ন রাসায়নিক বিক্রিয়া হচ্ছে। তাই ধোঁয়া ও গ্যাস সৃষ্টি হচ্ছে। ফায়ার সার্ভিস অভিযান অব্যাহত রেখেছে। বিকেলে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ দল এখানে আসবে।
![]() |
আগুন নেভানোর চেষ্টায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের চার সদস্যকে বিশেষ পোশাক ও অক্সিজেন মাস্ক পরে গুদামের ভেতরে প্রবেশ করতে দেখা গেছে। প্রায় ২০ মিনিট পর তারা বাইরে বের হন।
ভেতরে যাওয়া ফায়ার সার্ভিসের এক সদস্য বলেন, ভেতরে ক্রিমের মতো প্রায় হাঁটুসমান রাসায়নিক রয়েছে। তারা ফটক থেকে মাত্র দু-তিন ফুট ভেতরে যেতে পেরেছেন। গুদামের ভেতর ধোঁয়ায় ভরা, তাই কিছু দেখা যায়নি। বাতাস স্প্রে করে ভেতরটা দেখার চেষ্টা করা হয়। বিস্ফোরণে এলোমেলো হয়ে যাওয়া রাসায়নিকের বস্তা ও ড্রামও দেখা গেছে।
দুপুর পৌনে ১২টার দিকে গুদাম থেকে বের হওয়া বিষাক্ত ধোঁয়া পশ্চিম দিকে ভেসে যাচ্ছিল। এ দিকে অবস্থান করছিলেন ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। পরে ‘লুব-৬০’ নামের দূরনিয়ন্ত্রিত যন্ত্র ব্যবহার করে বাতাস সৃষ্টি করে ধোঁয়া অন্যদিকে সরানো শুরু হয়। এ সময় গুদামের দিক থেকে রাসায়নিক মিশ্রিত তরল বের হতে দেখা গেছে। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা জানান, ভেতরে ‘গ্রাউন্ড সিস্টেম’ স্থাপন করা হয়েছে। গুদামে পানি দেওয়া হচ্ছে, যা কাদার মতো রাসায়নিক বাইরে বের করছে।
আজও সকাল থেকে ঘটনাস্থলের সামনের রাস্তায় উৎসুক লোকজনের ভিড় রয়েছে। ফায়ার সার্ভিস মাইকিং করে মানুষকে বিষাক্ত গ্যাসের বিষয়ে সতর্ক করছে এবং সবাইকে চলে যেতে বলছে। লোকজনের ভিড়ে রূপনগর সড়কে যানজট তৈরি হয়েছে।
![]() |
ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে অভিযান অব্যাহত রাখা হয়েছে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
গত মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাসায়নিক গুদামে আগুন লাগে। আগুন বিস্ফোরিত হয়ে পাশের চারতলা ভবনে ছড়িয়ে পড়ে। পরে চারতলা ভবনের দোতলা ও তিনতলার বিভিন্ন স্থান থেকে ১৬টি লাশ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় রাসায়নিক গুদামের মালিক শাহ আলম ও ব্যবস্থাপকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। বুধবার রাতে নিহত একজনের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলায় অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগ আনা হয়।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন