[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

মিরপুরে আগুনে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬

প্রকাশঃ
অ+ অ-

আগুনে আটকে পড়া স্বজনের খোঁজ না পেয়ে শোকে পাথর হয়ে যান এই নারী | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন  

রাজধানীর মিরপুরের শিয়ালবাড়িতে পোশাক কারখানা ও রাসায়নিকের গুদামে আগুনে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬ জন হয়েছে। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ফায়ার সার্ভিসের ভাষ্যমতে, রাসায়নিকের গুদামের আগুন এখনো নেভেনি। পোশাক কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি সেখানে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।

আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আগুনের সূত্রপাত হয়। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, শিয়ালবাড়ির চারতলা ভবনে থাকা ‘আনোয়ার ফ্যাশন’ নামের পোশাক কারখানা এবং তার পাশের টিনশেড ঘরে থাকা রাসায়নিকের গুদামে আগুন জ্বলছে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা পানি ছিটিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করছেন।

শিশুটির পরিবারের সদস্যরা আটকে পড়েছে ভবনে, সেখানে জ্বলছে আগুন। তার কান্না বাঁধ মানছিল না | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন   

এর মধ্যে কারখানা থেকে ৯ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে বলে বিকেল সোয়া ৪টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম নিশ্চিত করেন। পরে সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে ফায়ার সার্ভিস জানায়, নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬ জন হয়েছে।

বিকেলে ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, ‘তল্লাশি অভিযান এখনো চলছে। পাশের কেমিক্যালের গুদামে এখনো আগুন জ্বলছে। জায়গাটা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ, সেখানে কাউকে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। আমরা সর্বোচ্চ প্রযুক্তি ব্যবহার করছি, ড্রোন দিয়েও কাজ করছি।’

যে রাসায়নিকের গুদামে আগুন লেগেছে, তার অনুমোদন নেই বলে ধারণা ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তাদের | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন    

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা বলেন, আগুন কীভাবে লেগেছে, তা এখনো জানা যায়নি। যাঁরা শুরুতে আগুন নেভাতে গিয়েছিলেন, তাঁরা রাসায়নিকের গুদাম ও গার্মেন্টস—দুই জায়গাতেই আগুন দেখেছেন।

কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, পোশাক কারখানার নিচতলায় ‘ওয়াশ ইউনিট’ ছিল। সেখানেই প্রথম আগুন লাগে। সেই আগুন পাশের রাসায়নিকের গুদামে ছড়িয়ে পড়লে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এরপর আগুন চারতলা পোশাক কারখানার সব জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে।

স্বজনদের খোঁজ পেতে উদ্বেগাকুল মানুষ | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন 

আগুন লাগার পর কারখানা থেকে শ্রমিকেরা বিভিন্নভাবে বের হয়ে আসার চেষ্টা করেন। এর মধ্যে অনেকে আটকা পড়ে।

ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম জানান, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে রাসায়নিকের গুদামে ব্লিচিং পাউডার, প্লাস্টিক এবং হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড ছিল।

ঘটনার পর থেকে গুদামের মালিক ও সেখানে কাজ করা কোনও কর্মকর্তা-কর্মচারীকে পাওয়া যাচ্ছে না, জানিয়েছেন ফায়ার ব্রিগেডের পরিচালক মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী। তিনি বলেন, দেখে মনে হচ্ছে ওই রাসায়নিক গুদানের অনুমোদন ছিল না। যাচাই-বাছাই ও তদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।

একটি মন্তব্য করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন