জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে তিন দফা দাবিতে শিক্ষকদের অবরোধ
![]() |
শিক্ষকেরা মূল বেতনের অন্তত ২০ শতাংশ হারে (ন্যূনতম তিন হাজার টাকা) বাড়িভাড়া দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা বাড়িভাড়া ৫০০ টাকা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে মূল বেতনের ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া দেওয়ার দাবিসহ তিন দফা দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে লাগাতার অবরোধ কর্মসূচি শুরু করেছেন। এ কর্মসূচিতে সারা দেশ থেকে হাজারো শিক্ষক-কর্মচারী অংশ নিয়েছেন। বিপুলসংখ্যক শিক্ষকের উপস্থিতির কারণে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে রাস্তা দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
![]() |
এ কর্মসূচিতে সারা দেশ থেকে হাজারো শিক্ষক-কর্মচারী অংশ নিয়েছেন | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
‘এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোট’–এর ব্যানারে আজ রোববার এই কর্মসূচি চলছে। অংশ নেওয়া শিক্ষকেরা বলছেন, এবার দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন থামাবেন না। তাদের অন্য দুটি দাবি হলো শিক্ষক ও কর্মচারীদের জন্য চিকিৎসা ভাতা ১,৫০০ টাকা করা এবং কর্মচারীদের উৎসব ভাতা ৭৫ শতাংশ করা।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর অর্থ বিভাগ এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া ৫০০ টাকা বাড়িয়ে এক হাজার টাকা থেকে দেড় হাজার টাকা নির্ধারণের অনুমোদন দেয়। এরপর এ নিয়ে শিক্ষকদের মধ্যে আপত্তি শুরু হয়। শিক্ষকেরা বলছেন, মাত্র ৫০০ টাকা বাড়িভাড়া তাদের জন্য ‘লজ্জার বিষয়’। তারা মূল বেতনের অন্তত ২০ শতাংশ হারে (ন্যূনতম তিন হাজার টাকা) বাড়িভাড়া দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, শিক্ষা উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল আবরার (সি আর আবরার) গত ৭ আগস্ট অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদকে একটি আধা সরকারি পত্র পাঠিয়েছিলেন। এতে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া এক হাজার থেকে দুই হাজার টাকা এবং চিকিৎসা ভাতা ৫০০ টাকা থেকে এক হাজার টাকা করার জন্য গত ফেব্রুয়ারিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় যে অনুরোধ করেছিল, তা স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়। এছাড়া কর্মচারীদের উৎসব ভাতা বাড়ানোর প্রয়োজনও উল্লেখ করা হয়। পত্রে বলা হয়েছে, এ জন্য ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে অতিরিক্ত ৭৬৯ কোটি ৩৩ লাখ টাকার প্রয়োজন।
![]() |
‘এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোট’–এর ব্যানারে আজ রোববার এই কর্মসূচি পালিত হচ্ছে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
শিক্ষকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে শতকরা হারে বাড়িভাড়া দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করতে আবারও অর্থ মন্ত্রণালয়কে অনুরোধপত্র পাঠিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। পত্রে বলা হয়েছে, ২০ শতাংশ হারে বাড়িভাড়া দিলে ৩,৪০০ কোটি টাকা, ১৫ শতাংশ হারে ২,৪৩৯ কোটি, ১০ শতাংশ হারে ১,৭৬৯ কোটি এবং ৫ শতাংশ হারে ১,৩৭১ কোটি টাকা প্রয়োজন। এই হিসাব অনুযায়ী বাড়িভাড়া দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন