মিরপুরে রাসায়নিক গুদামের ফটকের তালা ভাঙা হয়েছে, , ভেতরে বিষাক্ত ধোঁয়া
![]() |
ঢাকার মিরপুরের শিয়ালবাড়িতে আগুনে পুড়ে যাওয়া রাসায়নিক গুদামে ফায়ার সার্ভিসের অভিযানের প্রস্তুতি। আজ বুধবার সকালে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
রাজধানীর মিরপুরের শিয়ালবাড়িতে আগুনে পুড়ে যাওয়া রাসায়নিক গুদামের মূল ফটকের তালা ভাঙা হয়েছে। ভেতরে এখনো বিষাক্ত ধোঁয়া আছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। সংস্থাটি বলছে, এই মুহূর্তে ভেতরে প্রবেশ করা বিপজ্জনক।
আজ বুধবার দুপুরে এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক মো. নজমুজ্জামান।
নজমুজ্জামান বলেন, ‘আমরা সেফটি নিয়ে কেমিক্যাল স্যুট পরে যে মেইন গেট ছিল, সেটার তালা খুলে ভেতরের অবস্থা দেখেছি। প্রচণ্ড ধোঁয়া ভেতরে আছে। এখন কার্যক্রম চলছে, সময় লাগবে অনেক।’
তিনি জানান, গুদামের ভেতরে এখন অভিযান চালানো সম্ভব নয়। ভেতরের পরিস্থিতি নিরাপদ নয়। গুদামটি তালাবদ্ধ থাকায় আগুন লাগার সময় ভেতরে কেউ ছিল না বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ফায়ার সার্ভিসের নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে একটি দল ঘটনাস্থলে আসবে। বেলা তিনটার পর তারা পরিস্থিতি দেখে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানানো হয়েছে। অগ্নিকাণ্ডে নিখোঁজদের তালিকা তৈরির বিষয়ে প্রশাসন সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।
পোশাক কারখানার আগুন এখন নিয়ন্ত্রণে আছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। রাসায়নিক গুদামে বিভিন্ন ‘টক্সিক গ্যাস’ তৈরি হয়েছে, যা বাতাসের সঙ্গে মিশে গেছে। এই বিষাক্ত গ্যাসে মানুষ শ্বাস নিলে ত্বক, ফুসফুস ও হৃদ্যন্ত্রের সমস্যা হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে ফায়ার সার্ভিস।
![]() |
সাংবাদিকদের সাথে কথা বলছেন ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক কাজী নজমুজ্জামান | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
মো. নজমুজ্জামান বলেন, কেমিক্যাল বিষয়টা খুবই বিপজ্জনক ও জটিল। যে নিয়মে রাসায়নিক মজুত রাখার কথা, সেই নিয়ম না মানলে বিভিন্ন রাসায়নিক একসঙ্গে প্রতিক্রিয়া করে বড় ধরনের বিস্ফোরণ ঘটতে পারে বলে ফায়ার সার্ভিস আশঙ্কা করছে। এ কারণেই আগুন পুরোপুরি নেভাতে সময় লাগবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
শিয়ালবাড়ির একটি টিনশেড দোতলা রাসায়নিক গুদামে গতকাল মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আগুন লাগে। গুদামে আগুন ধরে বিস্ফোরণের পর আগুন পাশের চারতলা ভবনে ছড়িয়ে পড়ে। পরে ওই ভবনের দোতলা ও তিনতলার বিভিন্ন স্থান থেকে ১৬টি লাশ উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে ১০ জনের মরদেহ শনাক্তের দাবি করেছেন স্বজনেরা।
শিয়ালবাড়ির ৩ নম্বর সড়কে টিনশেডের ওই রাসায়নিক গুদাম ও চারতলা ভবনটি অবস্থিত। ভবনের দোতলায় ‘স্মার্ট প্রিন্টিং’ নামের একটি কারখানায় টি-শার্ট প্রিন্ট করা হয়। আর তিন ও চারতলায় রয়েছে ‘আরএন ফ্যাশন’ নামের একটি পোশাক কারখানা।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন