[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

চট্টগ্রাম ইপিজেডে দুই পক্ষের শ্রমিকের সংঘর্ষ

প্রকাশঃ
অ+ অ-
সিইপিজেডে একটি কারখানার দুই পক্ষের শ্রমিকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আজ সকালে ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

চট্টগ্রামে চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে (সিইপিজেড) প্যাসিফিক গ্রুপের একটি কারখানায় শ্রমিকদের দুটি পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে প্যাসিফিক গ্রুপের একটি ইউনিটের সামনে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশের বরাত দিয়ে জানা গেছে, কেউ গুরুতর আহত হয়নি। তবে দুই পক্ষের মধ্যে কিল-ঘুষি ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে।

জানা গেছে, ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে ইপিজেডের ভেতরে শিল্প পুলিশের গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। পুলিশ তখন মামলা দায়ের করে। মামলায় এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি এবং এটি শিল্প পুলিশ তদন্ত করছে। মামলার তথ্য-সংগ্রহ নিয়ে শ্রমিকদের এক পক্ষ অসন্তুষ্ট। তাদের দাবি, তাদের নামে মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে।

পুলিশ জানায়, মামলা থেকে অব্যাহতির দাবিতে এক পক্ষ কর্মবিরতি পালন করছিল। অন্য পক্ষ কাজের জন্য প্রস্তুত ছিল। কর্মবিরতিতে থাকা শ্রমিকরা তাদের বাধা দেন। এই অবস্থায় কারখানা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কাজের পরিবেশ না থাকলে কারখানা সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করা হবে। এরপর দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।

চট্টগ্রাম শিল্প পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন বলেন, “মামলা তদন্তে বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় সন্দেহভাজন শ্রমিকদের বাড়িতে খোঁজখবর নিচ্ছে পুলিশ। তাদের মধ্যে প্যাসিফিক গ্রুপের প্রতিষ্ঠান জিনস ২০০০ লিমিটেডের কয়েকজন শ্রমিক রয়েছেন। এ ঘটনায় শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। তবে কোনো শ্রমিককে বিনা কারণে হয়রানি করা হবে না।”

শ্রমিকদের পক্ষ থেকে তিন দফা দাবি দেওয়া হয়েছে—মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, জোর করে কোনো শ্রমিককে অব্যহতি না দেওয়া এবং কারখানা প্রশাসনের চারজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া। শ্রমিকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে গত মঙ্গলবার কারখানা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কোনো শ্রমিককে হয়রানি করা হবে না। পাশাপাশি একজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, কারখানা কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের পরও কয়েকজন শ্রমিক বিক্ষোভ দেখান। একপর্যায়ে কয়েকজনকে মারধর করা হয়। এরপর দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে। ইপিজেড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ জামির হোসেন বলেন, “কারও গুরুতর আহত হওয়ার খবর পাইনি। তবে কিল-ঘুষির ঘটনা ঘটেছে। কারখানা থেকে সব শ্রমিক বের হয়ে গেছেন। এর আগে গত ৯ অক্টোবরও শ্রমিকেরা কর্মবিরতি পালন করেছিলেন।”

চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের নির্বাহী পরিচালক মো. আবদুস সোবহান বলেন, পুলিশের গাড়ি ভাঙচুরের মামলায় শ্রমিকদের হয়রানি করা হচ্ছে—এমন দাবি করে কয়েকজন আবার কর্মবিরতিতে যান। সেখানে তারা হট্টগোল করে কাজ বন্ধ করে দেন। বর্তমানে কারখানায় কাজ বন্ধ, শ্রমিকেরা বাড়ি ফিরে গেছেন।

Fetching live reactions...
Was this article helpful?

Comments

Comments

Loading comments…
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন