[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

সখীপুরে স্ত্রীর দাবি নিয়ে তরুণের বাড়িতে নারী, গাছে বেঁধে মারধর

প্রকাশঃ
অ+ অ-

টাঙ্গাইলের সখীপুরে গাছের সঙ্গে বেঁধে নারীকে মারধরের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে ফেসবুকে | ছবি: ফেসবুক থেকে সংগৃহীত

টাঙ্গাইলের সখীপুরে স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবি করায় এক নারীকে (৩০) গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধরের অভিযোগ উঠেছে এক তরুণ ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার একটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মারধরের ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।

এ ঘটনায় আজ শুক্রবার দুপুরে ওই নারীর বাবা বাদী হয়ে সখীপুর থানায় একটি মামলা করেছেন। এতে মূল অভিযুক্ত করা হয়েছে আবদুর রশিদ (২১) নামের এক তরুণকে। এ ছাড়া তাঁর পরিবারের অন্য সদস্যদের বিরুদ্ধেও অভিযোগ আনা হয়েছে।

মামলার এজাহার ও স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দার সূত্রে জানা যায়, ফেসবুকে পরিচয়ের সুবাদে বছরখানেক আগে ওই নারীর সঙ্গে রশিদের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মাস ছয়েক আগে তাঁরা আদালতে গিয়ে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে বিয়ে করেন। হঠাৎ করে কিছুদিন আগে ওই নারীর সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন রশিদ। একপর্যায়ে তাঁকে বিয়ে করার বিষয়টি অস্বীকার করেন রশিদ। পরে স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে গতকাল সকাল ১০টার দিকে রশিদের বাড়িতে গিয়ে অনশনে বসেন ওই নারী। একপর্যায়ে দুপুরের দিকে ওই নারীকে একটি গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধর করেন রশিদ ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা। এতে ওই নারীর শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত জখম হয়।

খবর পেয়ে স্থানীয় একজন গণমাধ্যমকর্মী ঘটনাস্থলে গেলে ওই নারীকে গাছের সঙ্গে বাঁধা অবস্থায় রেখে দ্রুত সটকে পড়েন অভিযুক্ত ব্যক্তিরা। পরে ভিডিওটি মুহূর্তেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওটি দেখে ওই নারীকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান তাঁর বাবা।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই নারী আজ দুপুরে বলেন, ‘স্ত্রীর মর্যাদা ফিরে পেতে রশিদের বাড়িতে অনশনে বসেছিলাম। তাঁর পরিবারের সদস্যরা আমাকে একটি গাছের সঙ্গে রশি দিয়ে বেঁধে কঞ্চি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেন। আমাকে ৩০ মিনিট ধরে পেটানো হয়েছে। আমি এই নির্যাতনের বিচার দাবি করছি।’

ওই নারীকে গাছের সঙ্গে বাঁধার বিষয়টি স্বীকার করেছেন আবদুর রশিদ। তবে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি মুঠোফোনে বলেন, ‘ওই নারী আমার সঙ্গে প্রেম করার সময় তাঁর বয়স, আগের বিয়ে, দুই সন্তানের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় গোপন রেখে প্রতারণা করেছেন। মাস দুয়েক আগে বেড়াতে গেলে ওই নারীর বোনের জামাই পরিকল্পিতভাবে আমাকে আটক করে কাবিননামায় স্বাক্ষর রাখেন। আমার চেয়ে ওই নারী ১০ বছরের বড়। কয়েক দিন আগেও আমাদের বাড়িতে উঠেছিল। বারবার বিরক্ত করায় তাঁকে গাছে বেঁধেছিলাম। কিন্তু কোনো ধরনের নির্যাতন করিনি। মেয়েটির ভয়ে আমরা বাড়িতে তালা দিয়ে পালিয়েছি।’

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সখীপুর থানার ওসি আবুল কালাম ভূঁইয়া। তিনি জানান, আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।

একটি মন্তব্য করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন