গাজীপুরে পুলিশ হেফাজতে যুবকের মৃত্যু
![]() |
গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক আসামিকে মৃত ঘোষণা করেন | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
গাজীপুরের টঙ্গীতে চোর সন্দেহে আটক হওয়ার সাত ঘণ্টা পর পুলিশ হেফাজতে রনি মিয়া (৩০) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
এর আগে গতকাল বেলা দুইটার দিকে টঙ্গীর বড় দেওড়া এলাকা থেকে স্থানীয় লোকজন রনি মিয়াকে আটক করে টঙ্গী পশ্চিম থানায় সোপর্দ করেন। রনি টাঙ্গাইল সদর উপজেলার মীরের বেতকা গ্রামের কালু মিয়ার ছেলে। তিনি স্ত্রীকে নিয়ে টঙ্গীর বড় দেওড়া পরানমুলের টেক এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। পেশায় ছিলেন নির্মাণশ্রমিক।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল দুপুরে রনি মিয়ার বিরুদ্ধে একটি সাবমারসিবল পাম্প ও কিছু পাইপ চুরি করার অভিযোগ ওঠে। এসব জিনিসসহ তাঁকে আটক করেন স্থানীয় লোকজন। পরে তাঁকে থানায় সোপর্দ করা হয়।
পুলিশের ভাষ্যমতে, সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে রনি থানাহাজতের ওয়াশরুমে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর তাঁকে টঙ্গীর শহীদ আহসানউল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। সেখানে রাত সাড়ে ৯টার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়।
শহীদ আহসানউল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আশীষ চৌধুরী বলেন, ‘পুলিশ রনিকে হাসপাতালে নিয়ে আসে। তাঁর শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাইনি। উন্নত চিকিৎসার জন্য আমরা তাঁকে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠাই।’
টঙ্গী পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারুন অর রশীদ বলেন, রনিকে থানায় কোনো ধরনের নির্যাতন করা হয়নি। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন