যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যৌথ মহড়া শেষ হল
গত ১৪ সেপ্টেম্বর জহুরুল হক ঘাঁটিতে এ মহড়া শুরু হয়েছিল।![]() |
বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র বিমানবাহিনীর যৌথ মহড়ার সমাপনী অনুষ্ঠান | ছবি: আইএসপিআর |
বাংলাদেশ বিমানবাহিনী ও যুক্তরাষ্ট্রের প্যাসিফিক এয়ারফোর্সের অংশগ্রহণে ছয় দিনব্যাপী ‘অপারেশন প্যাসিফিক এঞ্জেল ২৫-৩’ শীর্ষক মহড়া গতকাল বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের বিমানবাহিনী ঘাঁটি জহুরুল হকে সমাপ্ত হয়েছে। সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের নির্দেশনা ও বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর ব্যবস্থাপনায় এই যৌথ মহড়া হয়।
আজ শুক্রবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সমাপনী অনুষ্ঠানে সহকারী বিমানবাহিনী প্রধান (পরিচালন) এয়ার ভাইস জাভেদ তানভীর খান সমাপনী বক্তব্য দেন এবং দুই দেশের অংশগ্রহণকারীদের সঙ্গে ফটোসেশনে অংশ নেন। অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের প্রতিনিধি, যুক্তরাষ্ট্রের প্যাসিফিক এয়ারফোর্সের জ্যেষ্ঠ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা, মহড়ায় অংশগ্রহণকারী বিমানবাহিনীর কর্মকর্তা এবং তিন বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ১৪ সেপ্টেম্বর জহুরুল হক বিমানবাহিনী ঘাঁটিতে মহড়া শুরু হয়েছিল।
![]() |
বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ও যুক্তরাষ্ট্রের প্যাসিফিক এয়ার ফোর্সের অংশগ্রহণে ছয়দিনব্যাপী ‘অপারেশন প্যাসিফিক এঞ্জেল ২৫-৩’ এর সমাপনী অনুষ্ঠান | ছবি : আইএসপিআর |
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের প্যাসিফিক এয়ারফোর্স বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রতিবছরই নানাবিধ প্রশিক্ষণমূলক অনুশীলন পরিচালনা করে আসছে। বিভিন্ন প্রতিকূল অবস্থা ও আপত্কালীন সংকট নিরসনে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টার ও পরিবহন বিমানগুলো ব্যবহার করা হয়ে থাকে। ‘অপারেশন প্যাসিফিক এঞ্জেল ২৫-৩’- এ মূলত আপত্কালীন এবং প্রতিকূল অবস্থায় বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টার ও পরিবহন বিমানগুলোর সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন ধরনের অনুশীলন পরিচালনা করা হয়। ‘অপারেশন প্যাসিফিক এঞ্জেল ২৫-৩’-এ বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি সি-১৩০জে পরিবহন বিমান, একটি এম আই-১৭ হেলিকপ্টার এবং প্যাসিফিক এয়ারফোর্সের দুটি সি-১৩০জে পরিবহন বিমান, বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর ১৫০ জন সদস্য এবং ইউএস প্যাসিফিক এয়ারফোর্সের ৯২ জন সদস্য অংশ নেন। এ ছাড়া বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সদস্যরা মহড়ায় অংশ নেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এই যৌথ অনুশীলনের মাধ্যমে দুই দেশের বিমানবাহিনী শুধু পেশাগত দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ই করবে না, বরং আন্তকার্যক্ষমতা বৃদ্ধি, কৌশলগত সহযোগিতা জোরদার এবং আস্থা ও বিশ্বাসের বন্ধনকে আরও সুদৃঢ় করবে। পাশাপাশি বিমানবাহিনীর চিকিৎসা, প্রকৌশল ও লজিস্টিক বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে স্থানীয় জনগণকে সেবা দান দুই দেশের পারস্পরিক সম্পর্ককে আরও মানবিক ও স্থিতিশীল ভিত্তি দেবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন