পলক ও জাহাংগীরকে পৃথক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে
|  | 
| জুনাইদ আহ্মেদ পলক | ফাইল ছবি | 
পৃথক মামলায় সাবেক তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক ও সাবেক সচিব জাহাংগীর আলমকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত আজ সোমবার এ আদেশ দেন।
এর আগে আজ সকালে এই দুই আসামিকে কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে সিএমএম আদালতের হাজতখানায় আনা হয়। সকাল ১০টার পর তাঁদের হাজতখানা থেকে আদালতকক্ষে তোলা হয়।
এরপর রাষ্ট্রপক্ষ থেকে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় করা একটি মামলায় জাহাংগীরকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করা হয়। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে বলা হয়, প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করার ঘটনার সঙ্গে আসামি জাহাংগীর সরাসরি জড়িত।
জাহাংগীরের পক্ষ থেকে আদালতে বলা হয়, তিনি ‘ডামি নির্বাচনের’ সঙ্গে কোনোভাবেই জড়িত নন।
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জাহাংগীরকে গ্রেপ্তার দেখানোর অনুমতি দেন।
২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনের সময় জাহাংগীর নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের সচিব ছিলেন। পরে তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিবের দায়িত্বে ছিলেন।
অন্যদিকে রাজধানীর কাফরুল থানায় করা হত্যাচেষ্টা মামলায় পলককে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করা হয়। শুনানি নিয়ে আদালত তাঁকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর অনুমতি দেন।
দুই আসামির আইনজীবী ফারজানা ইয়াসমিন বলেন, এখন পর্যন্ত তাঁর মক্কেল পলককে ৭৭টি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আর জাহাংগীরকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে ১৩টি মামলায়।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর একই বছরের ১৪ আগস্ট গ্রেপ্তার হন পলক। অন্যদিকে জাহাংগীর গত বছরের ১ অক্টোবর গ্রেপ্তার হন।
 
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন