নিজস্ব প্রতিবেদক ঢাকা

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

অপরাধের ধরনের ভিত্তিতে কোন কোন অপরাধ ক্ষমার অযোগ্য হবে, সে ব্যাপারে আইনি ব্যাখ্যা থাকা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন। বৃহস্পতিবার জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় ধাপের নবম দিনের আলোচনা শেষে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

এনসিপি রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদর্শনের প্রক্রিয়া ও বিচারব্যবস্থা সংস্কারে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে বলে জানান আখতার হোসেন। তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রপতির ক্ষমা যেন আর নিরঙ্কুশ না থাকে, বরং একটি বোর্ডের সুপারিশের ভিত্তিতে তা হয়—এ প্রস্তাবে আমরা একমত হয়েছি।’

অতীতে রাষ্ট্রপতির ক্ষমার অপব্যবহার হয়েছে অভিযোগ করে এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, শীর্ষ সন্ত্রাসীদেরও ক্ষমা করা হয়েছে রাজনৈতিক বিবেচনায়। এতে ন্যায়বিচার ক্ষুণ্ন হয়েছে, বিচারব্যবস্থার প্রতি মানুষের আস্থা কমেছে।

ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় দেশের বিচারব্যবস্থার সীমাবদ্ধতা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন এনসিপির এই নেতা। আখতার হোসেন বলেন, ২০ কোটি মানুষের দেশে হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগ মিলিয়ে কয়েক লাখ মামলা বিচারাধীন। মাত্র ১০০ জন বিচারপতি দিয়ে এই মামলাগুলো নিষ্পত্তি সম্ভব নয়।

আখতার হোসেন বলেন, সংবিধানের অষ্টম সংশোধনীর সময় ছয়টি জায়গায় হাইকোর্ট বেঞ্চ গঠনের উদ্যোগে বাধা এসেছিল। তখন একে ‘ইউনিটারি স্টেট’ কাঠামোর ব্যত্যয় বলা হয়েছিল। কিন্তু এবার এমনভাবে আইন করতে হবে যাতে, সেটি সাংবিধানিক বাধা এড়িয়ে বাস্তবায়ন করা যায়।

এনসিপির সদস্যসচিব আরও বলেন, ‘আমরা যে গণ-অভ্যুত্থানের পথ ধরে এই সংস্কার উদ্যোগে এসেছি, সেখানে জনগণের আকাঙ্ক্ষা আমাদের ধারণ করতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলো ও কমিশনের একমত হওয়া সিদ্ধান্তগুলো যেন বাস্তবায়ন হয়, সেটিই এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।’