প্রতিনিধি গাজীপুর

আদালতে তোলার সময় সাংবাদিক শাকিল আহমেদ ও ফারজানা রুপা | ফাইল ছবি

শেষবারের মতো প্রয়াত মায়ের মুখ দেখতে কারাগার থেকে প্যারোলে মুক্তি পেয়েছেন সাংবাদিক ফারজানা রূপা। তাঁর সঙ্গে স্বামী সাংবাদিক শাকিল আহমেদকেও প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যা ৬টার পর কারাগার থেকে পুলিশি প্রহরায় তাঁদের মুক্তি দেওয়া হয়।

আজ বুধবার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কারা অধিদপ্তরের সহকারী কারা মহাপরিদর্শক (মিডিয়া) জান্নাতুল ফরহাদ। জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে হত্যা মামলায় পৃথক কারাগারে বন্দী এই সাংবাদিক দম্পতি।

জান্নাতুল ফরহাদ জানান, সাংবাদিক ফারজানা রূপার মা মারা যান। তাঁর মাকে শেষবার দেখার জন্য তাঁকে ও তাঁর স্বামী সাংবাদিক শাকিল আহমেদকে চার ঘণ্টার জন্য পুলিশি প্রহরায় কারগার থেকে যেতে দেওয়া হয়। গাজীপুর জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা রূপার মায়ের মৃত্যুতে এই আদেশ দেন। কারাগারে এই আদেশ পাওয়ার পর তাঁদের পুলিশের কাছে হস্তান্তরের ব্যবস্থা করা হয়। তবে আদেশে বেলা ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত সময় দেওয়া হলেও পুলিশ আসতে দেরি হওয়া তাঁদের সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। মানবিক বিবেচনায় পরবর্তী চার ঘণ্টার জন্য তাঁদের পুলিশি প্রহরায় যেতে দেওয়া হয়।

গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার মোছা. কাওয়ালিন নাহার  বলেন, ফারজানা রূপা কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী ছিলেন। আর তাঁর স্বামী সাংবাদিক শাকিল আহমেদ কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী ছিলেন। তাঁদের গাজীপুর জেলা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তাঁদের ময়মনসিংহে ফারজানা রূপার গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তাঁদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।

এদিকে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় একাত্তর টেলিভিশনের সাবেক প্রধান প্রতিবেদক ও উপস্থাপক ফারজানা রূপার মা হোসনে আরা বেগম মারা যান। তাঁর জানাজা আজ রাত ৯টায় ময়মনসিংহের ঘাগড়া গ্রামে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

শাকিল আহমেদ বার্তাপ্রধান হিসেবে ও ফারজানা রুপা প্রধান প্রতিবেদক হিসেবে একাত্তর টেলিভিশনে কাজ করছিলেন। গত ৮ আগস্ট তাঁদের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। ২১ আগস্ট তাঁদের ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তাঁদের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজধানীর উত্তরায় ফজলুল করিম নামের একজনের মৃত্যুর ঘটনায় করা হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। গ্রেপ্তারের পর তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়।