প্রতিনিধি নাটোর

নাটোর বড়াইগ্রাম উপজেলার জোনাইল পশুর হাটে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে অতিরিক্ত হাসিলের টাকা ফেরত পান দুই শতাধিক ক্রেতা। শনিবার বিকেলে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

নাটোরের বড়াইগ্রামের জোনাইল পশুর হাটে অতিরিক্ত হাসিল নেওয়ার অভিযোগ পেয়ে অভিযান চালায় সেনাবাহিনীর একটি দল। আজ শনিবার বিকেলে ওই পশুর হাটে গিয়ে অভিযোগের সত্যতা পেলে তাৎক্ষণিক অতিরিক্ত আদায় করা হাসিল ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেয় তারা। পরে ইজারাদারেরা মাইকিং করে দুই শতাধিক পশু ক্রেতাকে আদায় করা অতিরিক্ত টাকা ফেরত দেন।

ইজারাদারেরা ভবিষ্যতে অতিরিক্ত হাসিল নেবেন না বলে মুচলেকা দেন।

হাট কমিটি সূত্রে জানা যায়, প্রতি শনি ও মঙ্গলবার উপজেলার জোনাইলে পশুর বড় হাট বসে। হাটের জন্য নির্ধারিত দিন হিসেবে আজ দুপুর থেকে হাট জমতে শুরু করে। হাটে প্রতিটি ছাগলের হাসিল বাবদ ক্রেতার কাছ থেকে ৪০০ টাকা ও বিক্রেতার কাছ থেকে ১০০ টাকা আদায় করা হয়। অথচ সরকারি তালিকা অনুযায়ী ক্রেতার কাছ থেকে ছাগলের মূল্য অনুসারে ১১০ থেকে ২২০ টাকা এবং বিক্রেতার কাছ থেকে ২২-৫৫ টাকা নেওয়ার কথা ছিল। অপর দিকে ইজারাদারেরা গরুর হাসিল বাবদ ক্রেতার কাছ থেকে ৮০০ টাকা ও বিক্রেতার কাছ থেকে ২০০ টাকা আদায় করেন। অথচ সরকারি তালিকা অনুযায়ী গরুর মূল্য অনুসারে ক্রেতার কাছ থেকে ৩৩০-৬০০ টাকা এবং বিক্রেতার কাছ থেকে ৬০-১২০ টাকা নেওয়ার কথা।

গরু বিক্রি করতে আসা আদগ্রামের আদম আলী বলেন, ‘যে গরু ৩ লাখ টাকায় বিক্রি হয়েছে এবং যে গরু ৩০ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে, তাদের উভয়ের হাসিলের পরিমাণ একই। অর্থাৎ ক্রেতা ও বিক্রেতার কাছ থেকে ইজারাদারেরা মোট এক হাজার টাকা আদায় করছেন। একইভাবে ৪০ হাজার টাকার ছাগল ও ১০ হাজার টাকার ছাগল বিক্রিতেও একই পরিমাণ খাজনা নিচ্ছেন। যা মোটেও ঠিক হচ্ছে না।’

কোরবানির জন্য ছাগল কিনতে আসা কলেজশিক্ষক ওসমান গণি বলেন, ‘পশুর হাটে হাসিল আদায়ের তালিকা খুঁজলাম। কিন্তু কোথাও পেলাম না। ইজারাদারদের জিজ্ঞেস করলে তাঁরা বলেন, আমরা বেশি নিচ্ছি না, তাই তালিকার প্রয়োজন নাই। এদিকে খাজনার রসিদে পশুর দাম লিখে দিচ্ছেন, কিন্তু হাসিল কত নিলেন, তা লিখছেন না।’