প্রতিনিধি ঝিনাইদহ

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত হন। রোববার সকালে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে মহব্বত আলী (৫৫) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও অন্তত সাতজন। আজ রোববার সকালে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় লোকজন জানান, উপজেলার জামাল ইউনিয়নে দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। এক পক্ষের নেতৃত্ব দেন ওই ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম এবং অপর পক্ষের নেতৃত্বে রয়েছেন ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি মাহফুজুর রহমান। পক্ষ দুটির মধ্যে এর আগেও ছোট ছোট সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, আজ সকাল সাতটার দিকে জামাল ইউনিয়নের বড় তালিয়ান গ্রামের আবদুল লতিফের বাড়িতে হামলা চালান মাহফুজুর রহমানের অনুসারীরা। এ সময় হামলাকারীরা তাঁর বাড়ি ভাঙচুর করেন। হামলার পর গ্রামে মহড়া দিচ্ছিলেন মাহফুজুর রহমানের লোকজন। সকাল ১০টার দিকে তাঁদের প্রতিহত করতে যান নজরুল ইসলামের অনুসারীরা। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এই সংঘর্ষে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মহব্বত আলী, তাঁর ভাই ইউনুচ আলী, প্রতিবেশী রেজাউল ইসলাম, রেফাজুল ইসলাম ও বড় তালিয়ান গ্রামের মিকাইল হোসেন আহত হন। এর মধ্যে মহব্বত আলী ও ইউনুচ আলীর অবস্থার অবনতি হলে তাঁদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়া হচ্ছিল। পথে মহব্বত আলী মারা যান। গুরুতর আহত ইউনুচ আলী ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অন্যদের যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

নিহত মহব্বতের বাড়ি উপজেলার নাকোবাড়িয়া গ্রামে। তিনি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মোল্লার সমর্থক বলে স্থানীয় লোকজন জানান।

কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, আহত পাঁচ রোগী হাসপাতালে এসেছিলেন। সবার শরীরে ধারালো দা ও রড দিয়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁদের ঢাকা ও যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম হাওলাদার হতাহতের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।