প্রতিনিধি চাঁদপুর

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সেনাবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আজ সোমবার চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে চলমান এসএসসির গণিত বিষয়ের পরীক্ষা ভালো না হওয়ায় পরীক্ষার্থীরা কেন্দ্রের আসবাব ভাঙচুর ও সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে। সোমবার দুপুরে উপজেলার কালচোঁ দক্ষিণ ইউনিয়নের রামপুর উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।

পরীক্ষাকেন্দ্র ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে সোমবার সকাল ১০টার থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত এসএসসি পরীক্ষার্থীদের গণিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষাকেন্দ্রে কঠোর নজরদারি থাকার অভিযোগ এনে পরীক্ষা শেষে রামপুর উচ্চবিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থীরা রামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আসবাব ভাঙচুর করে। এরপর পরীক্ষার্থীরা বলাখাল-রামপুর সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে এবং রামপুর উচ্চবিদ্যালয়ের মূল ফটক ভাঙচুরের চেষ্টা শুরু করে। এ সময় কেন্দ্র সচিবসহ শিক্ষকেরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সেনাবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

রামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বেশ কিছু চেয়ার-টেবিল, গ্লাসসহ অন্যান্য জিনিসপত্র ভাঙচুর করা হয়  | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

কয়েকজন পরীক্ষার্থী ও অভিভাবক বলেন, ম্যাজিস্ট্রেটসহ সরকারি কর্মকর্তারা সারাক্ষণ পরীক্ষাকেন্দ্রে উপস্থিত ছিলেন। এদিন পরীক্ষার্থীদের অতিরিক্ত গার্ড দেওয়া হয়। এতে মানসিক চাপে পড়ে পরীক্ষার্থী। ফলে তাদের গণিত পরীক্ষা খারাপ হয়।

জানতে চাইলে এসএসসি পরীক্ষাকেন্দ্র হাজীগঞ্জ-৬–এর কেন্দ্র সচিব ও রামপুর উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. কবির হোসেন সরকার বলেন, রামপুর উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে মৈশাইদ, বোরখাল উচ্চবিদ্যালয় ও আল-বান্না মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং রামপুর উচ্চবিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থীরা রামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। এতে নিয়মিত, অনিয়মিতসহ ২৫৪ জন শিক্ষার্থী গণিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে পরীক্ষা খারাপ হওয়ায় রামপুর উচ্চবিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থীরা রামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে হইহুল্লোড় শুরু করে।

রামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মোতাহের হোসেন বলেন, পরীক্ষার্থীরা তাঁর বিদ্যালয়ের বেশ কিছু চেয়ার-টেবিল, গ্লাসসহ অন্যান্য জিনিসপত্র ভাঙচুর করে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে মৌখিকভাবে জানিয়েছেন এবং পরে লিখিতভাবে অবহিত করবেন।

হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইবনে আল জায়েদ হোসেন বলেন, যেহেতু পরীক্ষা চলমান এবং পরীক্ষার্থীরা অপ্রাপ্তবয়স্ক, তাই অভিভাবকদের অবহিত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য কেন্দ্র সচিব ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।