প্রতিনিধি নাটোর
![]() |
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম–মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী নাটোরে জেলা পরিষদ মিলনায়তনে জিয়া পরিষদ আয়োজিত এক সেমিনারে বক্তব্য রাখেন। শনিবার দুপুরে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘আমাদের মধ্যে যদি ভুল–বোঝাবুঝি বাড়ে তাহলে ফ্যাসিবাদ উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা করবে। সেটা এই দেশ, জাতি, গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার জন্য মঙ্গলজনক হবে না।’
শনিবার দুপুরে নাটোর জেলা পরিষদ মিলনায়তনে জিয়া পরিষদ আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথাগুলো বলেন। নাটোর জিয়া পরিষদের সভাপতি আহমুদুল হক চৌধুরীর সভাপতিত্বে ‘স্বাধীনতা–সার্বভৌমত্ব, বহুদলীয় গণতন্ত্র এবং জিয়াউর রহমান’ শীর্ষক সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন পরিষদের নাটোর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক শাহ মো.শফিকুল ইসলাম।
সেমিনারে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে উদ্দেশ করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, দেশের জনগণ শেখ হাসিনার পতন দেখতে চেয়েছে এবং ভালো একটি সরকার দেখতে চেয়েছে। ভালো নির্বাচনের মাধ্যমে ভালো সরকার গঠিত হবে। ভালো নির্বাচন করার দায়িত্ব অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের। এই সরকার একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করবে। কারণ, এই অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনটা একেবারে জাদুঘরে পাঠিয়ে দিয়েছিল শেখ হাসিনা।
দেশে সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠান করার দায়িত্ব জনগণ অধ্যপক ইউনূসকে দিয়েছেন উল্লেখ করে রিজভী বলেন, অধ্যাপক ইউনূস সেই দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করবেন। তিনি একজন গুণী মানুষ। তিনি দেশের জন্য আন্তর্জাতিক সম্মান বয়ে এনেছেন। কিন্তু তাঁর মধ্যে যদি বৈপরীত্য থাকে, দোদুল্যমানতা থাকে, পেন্ডুলামের মতো দুলতে থাকেন, যেমন তিনি নির্বাচন অনুষ্ঠানের সময় নিয়ে বলছেন, ডিসেম্বর না জুন, ডিসেম্বর না মার্চ তাহলে এটা রাজনৈতিক লক্ষ্য হারাবে। তাঁর ওপর জনগণ আস্থা হারাবে। এটা কখনোই কারও জন্য কাম্য হতে পারে না।
কেউ কেউ বলছেন সংস্কার না করে নির্বাচিত হলে সেই দল পরবর্তী সময়ে সংস্কার করতে পারবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ আছে। বিষয়টি উল্লেখ করে রিজভী বলেন, সংস্কার তো রাজনৈতিক অঙ্গীকার। যদি একটি দল একটি অঙ্গীকার করে নির্বাচিত হয় তাহলে সেই দল তা পূরণ করবে না কেন? সংস্কার তো পার্লামেন্টে গিয়ে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সম্পন্ন করতে হবে। পার্লামেন্টে পাস করতে হবে। তাহলে এ ধরনের ধোঁয়াশা তৈরি করে, এ ধরনের বিভ্রান্তি তৈরি করে কার উপকার হচ্ছে? কে লাভবান হচ্ছে?
অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য রুহুল কুদ্দুস তালুকদার (দুলু)। আরও বক্তব্য দেন জিয়া পরিষদের কেন্দ্রীয় মহাসচিব এমতাজ হোসেন, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য কাজী গোলাম মোর্শেদ, জিয়া পরিষদের রাজশাহী বিভাগের সাধারণ সম্পাদক ফরিদুল ইসলাম ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক রহিম নেওয়াজ ও সদস্যসচিব আসাদুজ্জামান প্রমুখ।
রুহুল কুদ্দুস বলেন, ‘অতি সত্বর নির্বাচন দিন। আপনারা যত সংস্কারের কথা বলছেন, তার সবই তারেক রহমান তাঁর সংস্কার প্রস্তাবে বলেছেন। এখন জনগণের ভোটে বিএনপি নির্বাচনে গিয়ে সরকার গঠন করে সেই সংস্কার বাস্তবায়ন করবে।’