[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

বেক্সিমকো শিল্পপার্কে ৪ কারখানা বন্ধের নোটিশ, শ্রমিকরা কর্মস্থলে যাননি

প্রকাশঃ
অ+ অ-

প্রতিনিধি গাজীপুর

তৈরি পোশাক কারখানা | ফাইল ছবি

বেক্সিমকো শিল্পপার্কের আরও চারটি শাখা কারখানা বন্ধ করে (লে-অফ) শ্রমিকদের ছাঁটাই করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার গাজীপুরের সারাব এলাকায় মাইকিং করে এবং নোটিশ দিয়ে বিষয়টি জানায় কোম্পানিটির ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ।

বন্ধ ঘোষণা করা কারখানাগুলো হচ্ছে পার্কের ইয়ার্ন ইউনিট-২, টেক্সটাইল, ডেনিম ও নিটিং। তবে বেক্সিমকোর অন্য বিভাগ যেমন রূপগঞ্জের ইয়ার্ন ইউনিট-১-এর কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

গণ–অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান ছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি বিনিয়োগ ও শিল্পবিষয়ক উপদেষ্টা। ১৩ আগস্ট গ্রেপ্তার হন সালমান এফ রহমান।

তৈরি পোশাক রপ্তানির ক্রয়াদেশ না থাকা ও কাঁচামাল আমদানির জন্য ঋণপত্র খুলতে না পারায় ১৫ ডিসেম্বর থেকে বেক্সিমকো শিল্পপার্কের ১৬টি কারখানা লে-অফ বা বন্ধ ঘোষণা করেছে বেক্সিমকো গ্রুপ কর্তৃপক্ষ। কারখানাগুলো বন্ধ থাকলেও শ্রম আইন অনুযায়ী, ডিসেম্বর ও জানুয়ারির বেতন-ভাতা পরিশোধের জন্য ঋণ দেবে জনতা ব্যাংক। বেক্সিমকো গ্রুপের বন্ধ হওয়া কারখানাগুলোয় কাজ করেন প্রায় ৩০ হাজার শ্রমিক। এবার নতুন করে আরও ৪টিসহ বন্ধ কারখানার সংখ্যা দাঁড়ালো ২০–এ।

গতকাল দেওয়া নোটিশে বলা হয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে কারখানায় পর্যাপ্ত কাজ না থাকার কারণে সরকার কর্তৃক গঠিত বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর শ্রম ও ব্যবসায় পরিস্থিতি পর্যালোচনাসংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির ১৫ ডিসেম্বরের সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের বাংলাদেশ এক্সপোর্ট ইমপোর্ট কোম্পানি লিমিটেডে (বেক্সিমকো লিমিটেড-ইয়ান-২, টেক্সটাইল, ডেনিম ও নিটিং), কর্মরত সব কর্মকর্তা–কর্মচারী ও শ্রমিকদের বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬–এর সংশ্লিষ্ট ধারা মোতাবেক লে-অফের সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো। এই সিদ্ধান্ত ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর হবে। লে-অফ চলাকালে লে-অফকৃত কর্মকর্তা–কর্মচারী ও শ্রমিকদের আইন অনুযায়ী মজুরি বা বেতন দেওয়া হবে। লে-অফ থাকাকালে লে-অফকৃত কর্মকর্তা–কর্মচারী ও শ্রমিকের সশরীর কারখানায় এসে হাজিরা দেওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই।

ওই ঘোষণার পর আজ বুধবার সকাল থেকে কোনো শ্রমিক কারখানা এলাকায় আসেননি। এলাকায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিরাজ করছে। তবে শিল্প পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা বেক্সিমকোসহ আশপাশের কারখানা এলাকায় মোতায়েন রয়েছেন।

গাজীপুর শিল্প পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার আবু তালেব বলেন, বেক্সিমকোর আরও চারটি কারখানা বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। আজ থেকে এর বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। সকাল থেকে কোনো শ্রমিক কারখানা এলাকায় আসেননি।

Fetching live reactions...
Was this article helpful?

Comments

Comments

Loading comments…
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন