দুর্নীতির দায়ে পাঁচ বছর নিষিদ্ধ ডেভন টমাস

ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটার ডেভন থমাস | আইসিসি

খেলা ডেস্ক: ‘ম্যাচ পাতানোর সমঝোতা ও পরিকল্পনা’সহ সাত অপরাধে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ডেভন টমাসকে ৫ বছরের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আইসিসি। শ্রীলঙ্কা, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে দুর্নীতিবিরোধী আইন ভঙ্গ করেছিলেন টমাস।

৩৪ বছর বয়সী এই উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান এরই মধ্যে অপরাধ স্বীকার করে নিয়েছেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ১ টেস্ট, ২১ ওয়ানডে ও ১২ টি-টোয়েন্টি খেলা টমাস সর্বশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন ২০২২ সালের ডিসেম্বরে। আইসিসির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শাস্তির বিষয়টি জানানো হয়েছে।

টমাসের বিরুদ্ধে দুর্নীতিবিরোধী আইন ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়েছিল ২০২৩ সালের মে মাসে। তখন সাময়িক নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয় তাঁকে। যে তিনটি লিগের আইন ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়, তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুতর ছিল শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের (এসএলসি) লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগে (এলপিএল)। ২০২১ সালে ক্যান্ডি ওয়ারিয়র্সের হয়ে একটি ম্যাচই খেলেছিলেন টমাস। সেখানে ম্যাচ পাতানোর চেষ্টার দায়ে তাঁর বিরুদ্ধে এসএলসি আইনের চারটি ধারা ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়।

এমিরেটস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) আয়োজিত ২০২১ টি-টেন টুর্নামেন্টে জুয়াড়ির তথ্য প্রদানে ব্যর্থ হওয়ায় আরেকটি অভিযোগ গঠন করা হয় তাঁর বিরুদ্ধে। আর ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে ২০২১ ও ২০২২ সালের দুটি ঘটনায় যোগ হয় আরও দুটি অভিযোগ।

আইসিসি জানিয়েছে, এসএলসি, ইসিবি ও সিপিএলের দুর্নীতিবিরোধী আইন ভঙ্গের ৭টি অভিযোগই স্বীকার করে নিয়েছেন টমাস। তাঁর পাঁচ বছরের নিষেধাজ্ঞা গণনা হবে ২০২৩ সালের ২৩ মে সাময়িক নিষিদ্ধ ঘোষণার দিন থেকেই। তবে নিষেধাজ্ঞার শেষ ১৮ মাস স্থগিত থাকবে। যার অর্থ, ২০২৬ সালের নভেম্বরে খেলায় ফিরতে পারবেন টমাস।

আইসিসির ইন্টেগ্রিটি ইউনিটের মহাব্যবস্থাপক অ্যালেক্স মার্শাল টমাসকে অন্যদের জন্য বার্তা বলে উল্লেখ করেছেন, ‘আন্তর্জাতিক, ঘরোয়া ও ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট খেলার সুবাদে অনেক দুর্নীতিবিরোধী শিক্ষা কার্যক্রমে অংশ নিয়েছিলেন ডেভন। তিনি জানতেন দুর্নীতিবিরোধী ধারা অনুসারে আবশ্যকীয়ভাবে কী কী পালনীয়। কিন্তু তিনটি ভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে সেটা তিনি পালন করতে ব্যর্থ হয়েছেন। এই নিষেধাজ্ঞা খেলোয়াড় এবং দুর্নীতিবাজদের জন্য এই বার্তাটা বহন করবে যে আমাদের খেলায় এটি কঠোরভাবে প্রতিরোধ করা হয়।’