নাটোরে গুপ্ত হামলার শিকার ব্যক্তি পুলিশের মামলায় গ্রেপ্তার
![]() |
| আবু নওশাদ নোমানী | ছবি: সংগৃহীত |
প্রতিনিধি নাটোর: নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলায় মুখোশধারীদের গুপ্ত হামলার শিকার এক ইসলামি বক্তাকে বিশেষ ক্ষমতা আইন ও বিস্ফোরণ দ্রব্য আইনে করা মামলায় গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার জুমার নামাজের পরপরই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। নলডাঙ্গা থানার উপপরিদর্শক আরিফুল ইসলাম বাদী হয়ে গত ২০ নভেম্বর মামলাটি করেছিলেন।
গ্রেপ্তার ওই ইসলামি বক্তার নাম আবু নওশাদ নোমানী (৩৩)। তিনি নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার বাঁশিলা গ্রামের ময়েজ উদ্দিনের ছেলে। গত ১৬ অক্টোবর রাতে নলডাঙ্গা-বাঁশিলা সড়কে তিনি গুপ্ত হামলার শিকার হন। মুখোশধারীরা রড দিয়ে পিটিয়ে হাত-পা ভেঙে দিয়ে রাস্তায় ফেলে যায়। এ ঘটনায় একটি মামলা হলেও কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।
পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০ নভেম্বর সন্ধ্যায় গোপন সংবাদের মাধ্যমে বাদী জানতে পারেন, নাশকতা ও রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ড করার উদ্দেশ্যে বিএনপির-জামায়াতের নেতা-কর্মীরা নলডাঙ্গা বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের সামনে প্রাচীরবেষ্টিত ফাঁকা মাঠে গোপন বৈঠক করছিলেন। এ সময় পুলিশ অভিযান চালিয়ে দুজনকে আটক করে এবং অন্য ব্যক্তিরা পালিয়ে যান। এ ঘটনায় উপপরিদর্শক আরিফুল ইসলাম বাদী হয়ে ৮ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা আরও ৮০–৯০ জনকে আসামি করা হয়। মামলায় নাশকতার উদ্দেশ্যে গোপন ও বিস্ফোরক দ্রব্য হেফাজতে রাখার অভিযোগ করা হয়। মামলার এজাহারে ২টি ককটেল, ৩টি পেট্রলবোমা ও ১০টি লাঠি জব্দের কথা উল্লেখ করা হয়।
আবু নাওশাদ নোমানী পুলিশের করা মামলার ৫ নম্বর আসামি। আজ দুপুরে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হলেও সন্ধ্যা পর্যন্ত আদালতে হাজির করা হয়নি। নলডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম আসামি গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আবু নাওশাদ নোমানী মামলার এজাহারনামীয় আসামি। তাঁকে আদালতে হাজির করার প্রক্রিয়া চলছে।
স্বজনেরা জানান, আবু নওশাদ নোমানী এলাকার স্বনামধন্য ইসলামি বক্তা। ১৬
অক্টোবর রাতে নলডাঙ্গা-বাঁশিলা সড়কে তিনি ও তাঁর সঙ্গে থাকা নাসির উদ্দিন
সরকার গুপ্ত হামলার শিকার হন। মুখোশধারীরা তাঁদের রড দিয়ে পিটিয়ে হাত-পা
ভেঙে দিয়ে রাস্তায় ফেলে যায়। ঘটনার পর আবু নওশাদ নোমানী কাছে
দাবি করেছিলেন, তিনি নিজে বাদী হয়ে মামলা করতে থানায় গিয়েছিলেন, কিন্তু
থানা মামলা নেয়নি। তবে সঙ্গী নাসির উদ্দিন সরকার বাদী হয়ে ওই ঘটনায় থানায়
মামলা করেছেন। সেই মামলায় তিনি সাক্ষী। ওই মামলার তদন্তে কোনো অগ্রগতি নেই।
কাউকে গ্রেপ্তারও করা হয়নি।

Comments
Comments