[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

বগুড়ায় পুলিশের জ্যাকেট পরে ফেসবুকে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার ছবি

প্রকাশঃ
অ+ অ-

পুলিশের বুলেট প্রুফ জ্যাকেট পরা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সাজেদুল ইসলাম সাগর | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

প্রতিনিধি বগুড়া: বগুড়ায় বিএনপি-জামায়াতের অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে পুলিশের বুলেট প্রুফ জ্যাকেট পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছবি দিয়েছেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক নেতা।

ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে সেই ছবি সরিয়ে নিলেও এনিয়ে বিভিন্ন মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

সাজেদুল ইসলাম সাগর নামের ওই নেতা বগুড়া জেলার ধুনট উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। তিনি একই উপজেলার নিমগাছী ইউনিয়নের সোনাহাটা গ্রামের বাসিন্দা।

মঙ্গলবার তার নিজের ফেসবুক আইডিতে পুলিশের বুলেট প্রুফ জ্যাকেট পড়ে একটি ছবি আপলোড করেন সাগর নিজেই। এরপর পরই বিভিন্ন নেতিবাচক মন্তব্য করতে থাকেন রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মীরাসহ বিভিন্ন শ্রণী পেশার মানুষ। পরে ছবিটি তিনি সরিয়ে ফেলেন।

এ প্রসঙ্গে সাগর বলেন, মঙ্গলবার দুপুরে সোনাহাটা বাজারে বিট পুলিশিং  অফিসে যাই। ওই সময় দেখতে পাই যে ধুনট থানায় কর্মরত এসআই শহিদুল ইসলাম এর ব্যবহৃত বুলেটপ্রুফ জ্যাকেটটি বিট অফিসের টেবিলের ওপর রাখা।  আমি কৌতুহল বশতঃ  বুলেটপ্রুফ জ্যাকেটটি নিজে পরিধান করে বিট অফিসে থাকা নিমগাছী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আহ্বায়ক রাজু সুলতান এর মাধ্যমে ছবি তুলে সরল বিশ্বাসে আমার ফোনের গ্যালারিতে ছবিটি রাখি।

তিনি আরও বলেন, ‘আমার বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পরা এবং ছবি তোলা শুধু বিট অফিসের ভেতরে সীমাবদ্ধ ছিল। পরবর্তীতে ফেসবুক স্টোরিতে আপলোড দিয়ে রাখি। আমি বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পরে বিট অফিসের বাইরে যাইনি এবং কোনো কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করিনি। আমি লজ্জিত, অনুতপ্ত এবং ক্ষমা প্রার্থী।’

ধুনট উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আসিফ ইকবাল বলেন, ‘ফেসবুকে দেখে বিষয়টি তাৎক্ষণিক ধুনট থানার ওসিকে জানিয়েছি। তিনি বলেন, পুলিশের ব্যবহৃত পোশাক থেকে শুরু করে অন্যান্য সরঞ্জাম ব্যবহার করা অপরাধ। সাগর নামে স্বেচ্ছাসেবক লীগের ওই নেতা অপরাধের পাশাপাশি দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছেন।’

বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আব্দুর রশিদ  বলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি পুলিশ কর্মকর্তা জ্যাকেট বিট অফিসে রেখে হোটেলে ভাত খেতে যায়। সেই সময় স্বেচ্ছাসেবক লীগের ওই নেতা জ্যাকেট পরে ছবি তুলে ফেসবুকে দিয়েছেন। তারপরেও এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ধুনট থানার ওসিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’

ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)  রবিউল ইসলামের কাছে এ বিষয়ে জানার জন্য একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।

Fetching live reactions...
Was this article helpful?

Comments

Comments

Loading comments…
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন