[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

সুস্থ থাকুক পাবনার মানসিক হাসপাতাল

প্রকাশঃ
অ+ অ-

পাবনার হিমাইতপুরে অবস্থিত মানসিক হাসপাতাল | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

গওহার নঈম ওয়ারা: জয়পুরহাট শহরের বৈরাগীর মোড়ের মসজিদের বাইরে এক ক্লান্ত প্রবীণা তাঁর কিশোর নাতির জন্য অপেক্ষা করছিলেন। নাতির আগ্রহে জুমার নামাজের জন্য তাঁদের যাত্রাবিরতি। অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে। প্রবীণ এই নারীর সাকিন জেলার পাঁচবিবি, যাবেন পাবনা। জয়পুরহাট থেকে সান্তাহার হয়ে ঈশ্বরদী যাবেন ট্রেনে। সেখান থেকে বাসে পাবনা শহর, তারপর টেম্পোতে হিমাইতপুর।

বয়স্ক এই নারীর সঙ্গে কথার সূত্রে জানলাম, তাঁর ছোট ছেলে পাবনার মানসিক হাসপাতালে ভর্তি। সেখানে প্রায় দুই বছর ধরে তাঁর চিকিৎসা চলছে। নিয়মিত চিকিৎসায় কিছুটা উন্নতি হচ্ছিল। মাস তিনেক আগে গিয়ে তিনি দেখে এসেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) হঠাৎ তিনি খবর পেয়েছেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সব রোগীকে ছেড়ে দেবে। তাদের নাকি টাকা শেষ।

বয়স্ক নারীর মুখে কথাটি শুনে প্রথমে আমার বিশ্বাস হচ্ছিল না। পঁয়ষট্টি বছরের পুরোনো একটি নামকরা হাসপাতাল টাকার অভাবে রোগী রাখতে পারছে না, আউটডোর বন্ধ করে দিচ্ছে, সেটি কীভাবে সম্ভব। তাঁর কোথাও কোনো ভুল হয়েছে। আমার গলায় সন্দেহের গন্ধ পেয়ে প্রবীণা বললেন, ‘আমি সব জেনেই পথে বাড়াইছি বাপ।

কথার মাঝখানে ওই নারীর ‘নাতি ছাওয়াল’ মসজিদের শিরনির দুটি জিলাপি নিয়ে হাজির। কিশোরটির নাম ইব্রাহীম। সে মাদ্রাসার ছাত্র, দাদির হাতে জিলাপি দিয়ে বলে, ‘এটা খেয়ে পানি খা। ইস্টিশন কাছেই। পাঁচবিবির এই প্রবীণার মতো দেশের নানা প্রান্তের অনেকেই হয়তো সেদিন বা তার পরদিন পাবনায় ছুটেছিলেন।

পরে খোঁজ নিয়ে জানলাম, পাঁচবিবির প্রবীণ ওই নারীর কথায় সত্যতা ছিল। পাবনার মানসিক হাসপাতালের দরজা গরিব রোগীদের জন্য বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। গরিব রোগীদের ধাপে ধাপে বের করে দেওয়ার (ভদ্র ভাষায় বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া) নির্দেশ জারি হয়েছিল। ভাগ্য ভালো, সবাইকে একসঙ্গে বের করে হাসপাতালের ফটকে তালা লাগিয়ে দেয়নি কর্তৃপক্ষ।

সব সম্ভবের এই বেহেশতি দেশে সেটি করলেও কেউ জবাব চাইত না। আশার কথা, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশ্বাসের ওপর ভরসা রেখে হাসপাতাল প্রশাসন তাদের ‘গরিব রোগী খেদাও’ আদেশ স্থগিত করেছে। আউটডোর (বহির্বিভাগ) খোলা রাখার নতুন আদেশ জারি হয়েছে।

এমন হাল কেন
খাদ্য ও মালামাল সরবরাহকারী একটি সংক্ষুব্ধ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষে বনিবনা হচ্ছিল না। এ অবস্থায় তারা আদালতের দ্বারস্থ হয়। ব্রিটিশরা যেদিন থেকে এ দেশে আদালত–উকিল–মোক্তার চালু করেছে, সেদিন থেকে কথায় কথায় প্রতিপক্ষকে ‘হাইকোর্ট’ দেখানোর উৎসাহ আমাদের মধ্যে চেগে বসে। যাই হোক, গত বছরের ১৪ জুন রোগীদের খাবার সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ‘রোজ এন্টারপ্রাইজ’ দরপত্রে খাদ্যতালিকার নাম উল্লেখ করার জটিলতা নিয়ে পাবনা দায়রা জজ আদালতে মামলা করে।  

আদালত ওই বছরের ২৯ জুন সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বিবাদী অর্থাৎ মানসিক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অন্তর্বর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। এতে ঠিকাদার নির্বাচন ও নিয়োগ তথা দরপত্র কার্যক্রম স্থগিত হয়ে যায়।

আদালতের আদেশের পর নিরুপায় কর্তৃপক্ষ অন্তর্বর্তীকালীন ব্যবস্থা হিসেবে বাকিতে রোগীদের খাবার কেনার চেষ্টা করে। পাশাপাশি ‘ঊর্ধ্বতন মহলের’ সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা চেয়ে লেখালেখি করতে থাকে। কিন্তু এত দিন ধরে পরিষ্কার কোনো দিকনির্দেশনা না পেয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেয়, যেসব রোগীর টাকা দিয়ে খাবার আর ওষুধ নেওয়ার ক্ষমতা আছে অর্থাৎ যারা ‘পেয়িং বেডে’ অগ্রিম টাকা দিয়ে আছেন, তাঁদের কেবল খাবার দেওয়া হবে। বাকিদের আর খাবার দেওয়া যাবে না, বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হবে। একই সঙ্গে কর্তৃপক্ষ বহির্বিভাগ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়।

বিনা মূল্যের রোগী ও নিজ খরচে থাকা
গত শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত ৫০০ শয্যার এই হাসপাতালে ৪৮০ রোগী ভর্তি ছিলেন। তাঁদের মধ্যে ১৫০ রোগী ছিলেন নিজের খরচে। বাকি ৩৩০ জন ছিলেন বিনা মূল্যের শয্যায়। নিজের খরচে থাকা রোগীদের দুই মাসের ওষুধ ও শয্যাভাড়া বাবদ ৮ হাজার ৫২৫ টাকা করে ১৭ হাজার ৫০ টাকা অগ্রিম পরিশোধ করতে হয়। সেই সঙ্গে জমা রাখা হয় রোগীর পথ খরচের টাকা। বলা বাহুল্য, বিনা মূল্যের রোগীদের খরচ সরকার বহন করে। এঁরা সবাই দরিদ্র্য, নিম্নবিত্ত ঘরের মানুষ।

দরিদ্র রোগীদের, বিশেষ করে পাঁচবিবির ওই প্রবীণ নারীর মতো অভিভাবকদের হাতে পথে জলখাবারের টাকাটাও থাকে না। পাবনার মানসিক হাসপাতালে সারা দেশ থেকে রোগী আসে। প্রতিদিন ৪০০ থেকে ৫০০ নতুন/পুরোনো রোগী বহির্বিভাগে সেবা নিতে আসেন। বহির্বিভাগে রোগীদের বিনা মূল্যে চিকিৎসার পাশাপাশি দুই মাস বা ষাট দিনের প্রয়োজনীয় ওষুধ দেওয়া হয়।

১৯৫৭ সালে প্রতিষ্ঠিত এই হাসপাতালে শুরুতে মাত্র ৬০টি শয্যা ছিল। পরে ১৯৬৬ সালে প্রথম দফায় শয্যাসংখ্যা বাড়িয়ে ১৫০ ও পরে ২০০ করা হয়। সর্বশেষ ১৯৯৬ সালে হাসপাতালটি ৫০০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। বর্তমানে হাসপাতালে পাঁচটি নারী ওয়ার্ডসহ মোট ১৯টি ওয়ার্ড রয়েছে। মোট শয্যার ৩৫০টি বিনা মূল্যের এবং বাকি ১৫০টিতে রোগীদের নিজ খরচে থাকতে হয়। রোগীদের নিজেদের খরচে থাকা শয্যা খালি পাওয়া বেশ মুশকিল।

পাবনার পর আরও হাসপাতাল
জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য জরিপ ২০১৮-১৯ অনুযায়ী, দেশের দুই কোটির বেশি মানুষ বিভিন্ন ধরনের মানসিক রোগে আক্রান্ত। শতকরা হিসাবে তা ১৬ দশমিক ৮ শতাংশ। এই বিশাল জনগোষ্ঠীর চিকিৎসাসেবা দেওয়ার মতো সক্ষমতা পাবনা মানসিক হাসপাতালের নেই। পাবনার হাসপাতালের ওপর চাপ কমানো আর চিকিৎসা ও নীতি গবেষণার জন্য ১৯৮১ সালে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল (এনআইএমএইচ) প্রতিষ্ঠিত হয়। শুরুতে এটির নাম ছিল ইনস্টিটিউট অব মেন্টাল হেলথ অ্যান্ড রিসার্চ।

প্রতিষ্ঠানটি ২০০১ সালে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর এলাকায় যাত্রা শুরু করে। এ ছাড়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের কিছু সরকারি–বেসরকারি হাসপাতালে মানসিক স্বাস্থ্যসেবা চালু আছে। সামরিক হাসপাতাল ও সশস্ত্র বাহিনীর মেডিকেল কলেজেও মানসিক স্বাস্থ্যসেবার
ব্যবস্থা আছে।

শেরেবাংলা নগরে এনআইএমএইচের আটতলা ভবনটিতে একসঙ্গে চার শতাধিক ভর্তি রোগীর সেবা দেওয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এখানে ৬০ ভাগ শয্যা রোগীদের নিজ খরচে থাকতে হয়। ৪০ শতাংশ বিনা মূল্যের শয্যা। তবে এখানে দালালদের দৌরাত্ম্যের কথা নানা সময় পত্রিকায় ছাপা হয়েছে। বলা হয়, ঢাকার এই হাসপাতাল ঘিরে ১৪টি নানা আকারের বেসরকারি মানসিক হাসপাতাল গড়ে উঠেছে। মোহাম্মদপুরের হুমায়ুন রোড, বাবর রোড, শ্যামলী, আদাবর, মণিপুরিপাড়া, ফার্মগেট ও গ্রিন রোড এলাকায় এসব হাসপাতালের অবস্থান।

জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক হেলালউদ্দিন আহমেদ মনে করেন, ‘মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যে যাতে বেসরকারি মানসিক হাসপাতাল গড়ে না ওঠে, সেদিকে আমাদের নজর দিতে হবে।’

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, লাইসেন্সের শর্তানুযায়ী ১০ শয্যার মানসিক হাসপাতাল চালাতে সার্বক্ষণিক তিনজন চিকিৎসক, ছয়জন নার্স ও তিনজন পরিচ্ছন্নতাকর্মী রাখা বাধ্যতামূলক। শয্যা যত বেশি হবে, আনুপাতিক হারে এই সংখ্যা বাড়বে। প্রথম আলোর প্রতিনিধি একাধিক বেসরকারি হাসপাতালে গিয়ে দেখেছেন, কোথাও জনবলের অনুপাত মানা হয় না। বরং তাঁরা বুক ফুলিয়ে বলেন, ‘যেসব চিকিৎসক তাঁদের কাছে রোগী রেফার করেন, তাঁরাই এসে রোগী দেখে যান।’

অধ্যাপক হেলালউদ্দিনের সুপারিশ মেনে যদি আশপাশে এমন হাসপাতাল বন্ধ করা যায়, তাহলে এমন প্রবণতা হয়তো কমে যাবে।

এসব হাসপাতালের নিষ্ঠুরতা ও চরম অব্যবস্থার কথা প্রথম জনসমক্ষে আসে পুলিশের এক কর্মকর্তার মৃত্যুর পর। আনিসুল করিম নামে এএসপি পদমর্যাদার ওই কর্মকর্তাকে চিকিৎসার নামে নির্যাতন করে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। ওই ঘটনায় হত্যা মামলা হয়। সেটি ২০২০ সালের ৯ নভেম্বরের কথা। অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানটির (মাইন্ড অ্যান্ড সাইকিয়াট্রিক অ্যান্ড ডি-অ্যাডিকশন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কোনো অনুমোদন ছিল না।

অভিযোগ আছে, আনিসুলকে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট থেকে ওই বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। তাঁর মৃত্যুর ঘটনায় করা হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের তদানীন্তন উপকমিশনার বলেছিলেন, আনিসুলকে যাঁরা মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট থেকে ভাগিয়ে নিয়েছেন, তাঁদের নাম পাওয়া গেছে।

কেন এই দশা
চাহিদা আর সরবরাহের ঘাটতি থেকেই ফাঁকতালে পয়সা কামানোর সুযোগ সৃষ্টি হয়। দেশে এই মুহূর্তে মানসিক রোগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক আছেন মাত্র ২৭০ জন। আর কাউন্সেলিংয়ের জন্য (ব্যক্তিগত, সামাজিক বা মনস্তাত্ত্বিক সমস্যার সমাধান পরামর্শ) পেশাদার মনস্তত্ত্ববিদ আছেন মাত্র ২৫০ জন।

প্রয়োজনের তুলনায় চিকিৎসক ও প্রশিক্ষিত জনবল কম থাকায় সুযোগ নিচ্ছে বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল। নজরদারি দূরে থাক, এদের সঙ্গে মিলেমিশে পরিস্থিতিকে আরও নাজুক করে তুলছে একশ্রেণির সুযোগসন্ধানী।

উপায় কী
অবকাঠামো ছাড়াও দক্ষ জনবলের ব্যাপক ঘাটতি আছে। মানসিক সংকটের শুরুতে সেটি শনাক্ত করে প্রাথমিক সহযোগিতা ও শুশ্রূষা দিতে পারলে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই হাসপাতাল বা ক্লিনিকে ভর্তি হতে হয় না। মাঠপর্যায়ে প্রশিক্ষিত প্যারামেডিকরা (প্রাথমিক জরুরি চিকিৎসাসেবক) সহজেই এই কাজটি করতে পারেন। দক্ষ মানসিক রোগবিশেষজ্ঞ ও পেশাদার মনস্তত্ত্ববিদ তৈরির পাশাপাশি মানসিক সংকট ব্যবস্থাপনায় পারদর্শী একদল পেশাদার প্যারামেডিক তৈরির কথা আমাদের ভাবতে হবে।

মানসিক রোগ নিয়ে সমাজের অবস্থান বড়ই বৈরী। পরিবারের লোকজন মানসিক রোগের কথা যত দিন সম্ভব গোপন রাখে। গোপনে চিকিৎসা করে। মানসিক রোগী এই অবস্থা থেকে উত্তরণে মা ছাড়া কাউকে পাশে পায় না।

মানসিক ভারসাম্যহীনদের ‘পাগল’ তকমা দিয়ে খুব সহজে সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করা যায়। তাই অনেক ক্ষেত্রে ভাইবোনেরা চিকিৎসার ক্ষেত্রে তেমন গা করে না। এসব কারণেই বেসরকারি চিকিৎসাকেন্দ্রগুলো বেপরোয়া আচরণ করার সাহস পায়। সমাজকে সপক্ষে আনতে গণমাধ্যম ভূমিকা রাখতে পারে।

অবকাঠামো নিয়েও নতুন করে ভাবতে হবে। পাবনার তৎকালীন সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ হোসেন ১৯৫৭ সালে ভেবেছিলেন নিরিবিলি পরিবেশের কথা। তাই তিনি শহর থেকে দূরে শীতলাই জমিদারবাড়িটি হাসপাতালের জন্য বেছে নিয়েছিলে।

শেরেবাংলা নগরের ইটের পাঁজর, লোহার খাঁচা মানসিক ক্লান্তি দূর করে নাকি বাড়িয়ে দেয়, সেটি নিয়ে খোলাখুলি আলোচনা হওয়া উচিত। প্রায় ১১১ দশমিক ২৫ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত পাবনার মানসিক হাসপাতালের পূর্ণ ব্যবহার আজও হয়নি।

ঢাকার কর্তাদের কাছে পাবনা যেন নিতান্তই একটা উপনিবেশ বা কলোনি। সাম্প্রতিক পরিস্থিতি সে কথাটিই যেন আবার প্রমাণ করল। ঠিকমতো ব্যবস্থা আর পরিকল্পনা নিলে পাবনা হাসপাতালের সক্ষমতা তিন গুণ বাড়ানো সম্ভব। পাবনার নাগরিক আর শিক্ষার সুযোগ-সুবিধা ঢাকার চেয়ে কম নয়।

সবকিছু ঢাকায় কেন্দ্রীভূত করার ভূত আমাদের মাথা থেকে তাড়াতে হবে। বিকেন্দ্রীকরণ আর স্বায়ত্তশাসনের সুযোগ না দিলে প্রতিষ্ঠানগুলোর বিকাশ হবে না। এভাবে দরজা–জানালা বন্ধ করে সংকট সমাধানের পথ খুঁজবে প্রতিষ্ঠানগুলো।

 লেখক: গবেষক                          

Fetching live reactions...
Was this article helpful?

Comments

Comments

Loading comments…
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন