[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

৪৩ শিক্ষক বদলি, নোয়াখালীর সব সহকারী শিক্ষক শোকজ

প্রকাশঃ
অ+ অ-
বদলি তালিকায় রয়েছেন এই পাঁচ শিক্ষক নেতা | ছবি: সংগৃহীত

দশম গ্রেডসহ তিন দফা দাবি আদায়ের আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া পাঁচ জন শিক্ষক নেতাসহ দেশের বিভিন্ন জেলার ৪২ জন সহকারী শিক্ষক এবং একজন প্রধান শিক্ষককে বদলি করা হয়েছে। অন্যদিকে গত দুই দিনে নোয়াখালী জেলার সব সহকারী শিক্ষক এবং ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে কারণ দর্শানো নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

শিক্ষক নেতারা হলেন—বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি (কাসেম-শাহীন), বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. শামছুদ্দিন মাসুদ, বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি (শাহিন-লিপি) সাধারণ সম্পাদক খায়রুন নাহার লিপি, প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ নেতা মু. মাহবুবুর রহমান এবং মো. আনোয়ার উল্যা।

জানতে চাইলে বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. শামছুদ্দিন মাসুদ  বলেন, ‘বিভিন্ন জেলার ৪২ জন সহকারী শিক্ষককে বদলি করা হয়েছে। আর নোয়াখালী জেলার সব শিক্ষক এবং দেশের বিভিন্ন এলাকার আরও কিছু শিক্ষককে কারণে দর্শানো নোটিশ দেওয়া হয়েছে। অপর আরেকটি আদেশে বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি (কাসেম-শাহীন) সভাপতি, প্রধান শিক্ষক মো. আবুল কাসেকে ময়মনসিংহ থেকে বরিশালে বদলি করা হয়েছে।’

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বৃহস্পতিবারের (৪ ডিসেম্বর) সহকারী শিক্ষক বদলির আদেশে দেখা গেছে, সংশ্লিষ্ট জেলার বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তাঁদের পদায়ন করা হয়েছে। ঢাকা, নোয়াখালী, পটুয়াখালী, কিশোরগঞ্জ, রাজবাড়ী, জয়পুরহাট এবং ময়মনসিংহ জেলার সহকারী শিক্ষকদের বদলি করে বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, দশম গ্রেড বাস্তবায়নসহ তিন দফা দাবিতে শিক্ষকরা গত ৮ নভেম্বর থেকে অবস্থান কর্মসূচি ও পরদিন থেকে কর্মবিরতিসহ অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন, যা ৯ নভেম্বর পর্যন্ত চলে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ১১তম গ্রেড নির্ধারণের আশ্বাস দিলে শিক্ষকরা আন্দোলন প্রত্যাহার করেন।

নভেম্বরের মধ্যে ১১তম গ্রেড বাস্তবায়নে দৃশ্যমান অগ্রগতি না হওয়ায় শিক্ষকরা ৩০ নভেম্বর থেকে কর্মবিরতি শুরু করেন। ১ ডিসেম্বর থেকে তৃতীয় প্রান্তিক মূল্যায়ন বর্জন করেন শিক্ষকরা। বুধবার (৩ ডিসেম্বর) থেকে দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ঘোষণা করা হয়। পরে শিক্ষকরা সেটি প্রত্যাহার করেন। আগামী রবিবার (৭ ডিসেম্বর) থেকে প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের তৃতীয় প্রান্তিক মূল্যায়ন নেওয়া হবে।

শিক্ষকদের তিন দফা দাবি: সহকারী শিক্ষকদের বর্তমান বেতন স্কেল ১৩তম গ্রেড থেকে ১০ম গ্রেডে উন্নীত করা, শিক্ষকদের ১০ ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্তির বিষয়ে জটিলতার অবসান ও সহকারী শিক্ষক থেকে প্রধান শিক্ষক পদে শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতি।

Fetching live reactions...
Was this article helpful?

Comments

Comments

Loading comments…
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন