[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

কুড়িগ্রামে শীত জেঁকে বসেছে, আজ তাপমাত্রা ১২ দশমিক ৪

প্রকাশঃ
অ+ অ-
কুড়িগ্রামে শীতের তীব্রতার সঙ্গে বাড়ছে কুয়াশাও। আজ বৃহস্পতিবার সকালে ফুলবাড়ী উপজেলার দ্বিতীয় ধরলা ব্রিজ এলাকায় | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন   

কুড়িগ্রামে শীতের তীব্রতা দিন দিন বেড়েই চলেছে। টানা তিন দিন জেলায় তাপমাত্রা ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রেকর্ড করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।

রাজারহাট কৃষি ও আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বুধবার তাপমাত্রা ছিল ১২ দশমিক ৩ ডিগ্রি, মঙ্গলবার ১২ ডিগ্রি এবং সোমবার ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল।

এই তিন দিনে জেলার বিভিন্ন এলাকায় দেখা গেছে, সকালে ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা থাকে রাস্তাঘাট। তখন অনেক যানবাহন বা মানুষ দেখা যায়নি। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শীতের তীব্রতা কিছুটা কমলে মানুষের আনাগোনা দেখা গেছে।

শীতের প্রকোপে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের দিনমজুর, রিকশাচালক ও খেটে খাওয়া মানুষ। অন্যদিকে জেলা সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, শিশু ও বৃদ্ধদের মধ্যে সর্দি, কাশি ও জ্বরের উপসর্গ বেড়েছে।

জেলা শহরের তুলনায় নদ-নদীবেষ্টিত চরাঞ্চলে শীতের তীব্রতা বেশি। ব্রহ্মপুত্রবেষ্টিত বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের দক্ষিণ বালাডোবা চরের বাসিন্দা মুনছুর আলী বলেন, সন্ধ্যা নামার পর বাতাসের সঙ্গে কুয়াশা বেড়ে যায়। সবচেয়ে বেশি কষ্ট দেয় শীতের তীব্র বাতাস। ছোট বাচ্চা নিয়ে পরিবারগুলো বিশেষভাবে বিপাকে পড়েছেন।

কুড়িগ্রাম জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যালয় জানিয়েছে, শীতার্ত মানুষের জন্য জেলার ৯টি উপজেলায় কম্বল কেনার জন্য কমবেশি ৬ লাখ টাকা করে মোট ৫৪ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

সুবল চন্দ্র সরকার জানান, আগামী দিনগুলোতে শীতের তীব্রতা আরও বাড়তে পারে। প্রতিদিন কুয়াশার ঘনত্ব বাড়ছে, ফলে শীতও আরও কড়া হবে।

একটি মন্তব্য করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন