[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

ঝিনাইদহ-৪: রাশেদ খাঁনের মনোনয়নে নেতাদের অসন্তোষ

প্রকাশঃ
অ+ অ-
বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন রাশেদ খাঁন। শনিবার দুপুরে বিএনপির চেয়ারপারসনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে | ছবি: বিএনপির মিডিয়া সেলের ফেসবুক পেজ থেকে

বিএনপি সমঝোতার মাধ্যমে শরিকদের ২৮টি আসন ছেড়ে দিচ্ছে। এর মধ্যে ১০টি আসনে শরিক দলের নেতাদের আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ঝিনাইদহ-৪ (কালীগঞ্জ ও সদরের আংশিক) আসন গণ অধিকার পরিষদের রাশেদ খাঁনকে দেওয়া হবে জানানো হলে স্থানীয় বিএনপিতে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। রাশেদ খাঁন দল ছেড়ে বিএনপিতে যোগ দিলেও উত্তেজনা থামেনি। স্থানীয় বিএনপির বড় অংশ বিক্ষোভ-মিছিল চালিয়ে যাচ্ছে।

গতকাল শুক্রবার কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম (ফিরোজ) এবং জেলা বিএনপির উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও প্রয়াত সংসদ সদস্য শহিদুজ্জামান বেল্টুর সহধর্মিণী মুর্শিদা জামানের অনুসারীরা কাফনের কাপড় পরে কালীগঞ্জ শহরে বিক্ষোভ-মিছিল করেন। শনিবার সন্ধ্যায়ও তাঁরা কালীগঞ্জ উপজেলা বিএনপি কার্যালয়ে সমাবেশ করেছেন। মনোনয়ন পরিবর্তন না হলে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সাইফুল ইসলাম নির্বাচন করবেন বলে তাঁর অনুসারীরা জানিয়েছেন।

রাশেদ খাঁন শুক্রবার দল ত্যাগ করার পর আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন। রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের হাতে ফুল দিয়ে দলটিতে যোগ দেন রাশেদ। এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদও উপস্থিত ছিলেন।

বিএনপিতে যোগ দেওয়ার ফলে ধানের শীষ প্রতীকে ভোটে লড়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে রাশেদের জন্য। নির্বাচনে তাঁর পক্ষে কাজ করার জন্য স্থানীয় বিএনপিকে নির্দেশনা দিয়ে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘ঝিনাইদহ-৪ আসনে মো. রাশেদ খাঁন ধানের শীষ প্রতীকে ভোট করবেন। সবাই দলের পক্ষ থেকে রাশেদ খাঁনকে সর্বাত্মক সহায়তা করবে এবং বিজয় নিশ্চিত করবে।’

এই আসনে স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় নেতা সাইফুল ইসলাম, জেলা বিএনপির উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য শহিদুজ্জামানের সহধর্মিণী মুর্শিদা জামান, উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক হামিদুল ইসলাম (হামিদ) মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন।

শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে রাশেদ খাঁনের ধানের শীষ প্রতীক হাতে পাওয়ার পর স্থানীয় নেতা-কর্মীরা মশালমিছিলের ঘোষণা দেন। পরে বিশেষ কারণে মশালমিছিল না করে সন্ধ্যায় কালীগঞ্জ থানার রোডে দলীয় কার্যালয়ে সমাবেশ করেন। সাইফুল ইসলাম ও মুর্শিদা জামান পক্ষের নেতা-কর্মীরা সম্মিলিতভাবে এই কর্মসূচি পালন করেন। উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক জাবেদ আলী জানান, মশালমিছিল করা সম্ভব হয়নি, তবে সমাবেশের মাধ্যমে তাঁরা মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবি জানিয়েছেন।

অন্যদিকে উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক হামিদুল ইসলাম (হামিদ) নিজ অনুসারীদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভা করছেন। শনিবার শহরের মোবারক আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত সভায় নেতা-কর্মীদের বলা হয়েছে, মনোনয়নের বিষয়ে দলের সিদ্ধান্তের দিকে নজর রাখা হচ্ছে।

রাশেদ খাঁন জানিয়েছেন, বিএনপির সঙ্গে তাঁর দল যুগপৎ আন্দোলনে ছিল। দেশনায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বে আস্থা রেখেই তিনি ধানের শীষ প্রতীকে ঝিনাইদহ-৪ আসনে প্রার্থী হয়েছেন। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন, নির্বাচনে বিজয়ী হবেন।

দলের মনোনয়নপ্রত্যাশী নেতাদের বিষয়ে রাশেদ খাঁন বলেন, ‘দীর্ঘদিন আন্দোলন সংগ্রাম করা নেতাদের চাওয়া-পাওয়া স্বাভাবিক। তবে তাঁরা শহীদ জিয়াউর রহমানের আদর্শে বিশ্বাস রেখে তারেক রহমানের নির্দেশ মেনে ধানের শীষের পক্ষে থাকবেন বলে আশা করি।’

Fetching live reactions...
Was this article helpful?

Comments

Comments

Loading comments…
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন