সাইবার মামলা দিয়ে অনলাইন মতপ্রকাশ হরণ করেছেন সাদিক কায়েম: ছাত্রদল
| ছাত্রদল বিবৃতি |
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সহসভাপতি (ভিপি) আবু সাদিক কায়েম সাইবার আইনে মামলা করার মাধ্যমে অনলাইনে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হরণ করেছেন বলে মন্তব্য করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। তারা সাদিক কায়েমকে আইনি প্রক্রিয়ায় মামলা প্রত্যাহার করে শিক্ষার্থীদের কাছে দুঃখপ্রকাশ করার আহ্বান জানিয়েছে।
আজ মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এসব কথা বলা হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সাদিক কায়েম সাইবার মামলা করে অনলাইনে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হরণ করেছেন। দীর্ঘদিন ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যুক্ত থাকার কারণে তিনি বাক্স্বাধীনতা হরণের আওয়ামী-বাকশালি কৌশল রপ্ত করেছেন। তার মামলা সন্ত্রাস থেকে মিম পেজ ও ট্রল পেজও রেহাই পায়নি। এ ধরনের ‘মামলা সন্ত্রাস’ ছাত্রশিবিরের অসহিষ্ণুতার প্রকাশ।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি ও বর্তমানে কেন্দ্রীয় নেতা এবং ডাকসুর ভিপি পদধারী সাদিক কায়েম কয়েকটি ফেসবুক আইডি ও পেজের বিরুদ্ধে বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও হয়রানিমূলক মামলা করেছেন। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সাদিক কায়েমের এই সাইবার ক্রাইমের মামলা দায়েরের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে।
বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পূর্ববর্তী ফ্যাসিবাদী আমলের সাইবার আইন বিলুপ্ত করে জনগণের মতপ্রকাশের স্বাধীনতার পথ উন্মুক্ত করেছে। বর্তমানে সাইবার আইনে মানহানি সংক্রান্ত কোনো মামলা দায়ের করার সুযোগ নেই। কিন্তু সাদিক কায়েম এই আইনের অপব্যবহার করে শেখ হাসিনার পদাঙ্ক অনুসরণ করেছেন। তার অভিযোগ সাইবার সুরক্ষা আইন বা অন্য কোনো আইনের অধীনে ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে সাব্যস্ত হয় না। আইনকে ব্যবহার করে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে দমন করাই তার উদ্দেশ্য।
বিবৃতিতে বলা হয়, ডাকসুর ভিপি পদধারী কোনো ছাত্রনেতা কর্তৃক শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে সাইবার মামলা করা ন্যক্কারজনক ও নজিরবিহীন ঘটনা। সাদিক কায়েম ডাকসুর ভিপি পদকে কলঙ্কিত করেছেন। ব্যক্তিগত প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে তিনি ‘ফ্রিডম অব অনলাইন এক্সপ্রেশন’-এর অধিকারকে অবজ্ঞা করেছেন।
বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব এবং সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির আইনি প্রক্রিয়ায় মামলা প্রত্যাহার করে সাদিক কায়েমকে শিক্ষার্থীদের কাছে দুঃখপ্রকাশের আহ্বান জানিয়েছেন।
শাহবাগ থানার ওসি খালিদ মনসুর বলেন, মামলার অভিযোগ রেকর্ড হয়েছে। আগামীকাল সাইবার ক্রাইমে মামলাটি হবে।
Comments
Comments