[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

সাংবাদিকদের সুরক্ষা চেয়ে সিপিজে আহ্বান, আনিস আলমগীরকে অবিলম্বে মুক্তি দাবি

প্রকাশঃ
অ+ অ-
সাংবাদিক আনিস আলমগীর

সাংবাদিক আনিস আলমগীরের বিরুদ্ধে আনা সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ অবিলম্বে প্রত্যাহার করা এবং নিঃশর্ত মুক্তি দেওয়ার দাবি জানিয়েছে কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে)। একই সঙ্গে জাতীয় নিরাপত্তার অজুহাতে সংবাদমাধ্যমকে নিশানা করা বন্ধ করারও আহ্বান জানিয়েছে নিউইয়র্কভিত্তিক এই সংগঠন, যা বিশ্বজুড়ে সাংবাদিকদের সুরক্ষা নিয়ে কাজ করে।

বুধবার সিপিজে তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি এ আহ্বান জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একাধিক সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা গেছে, ১৫ ডিসেম্বর (সোমবার) বাংলাদেশের সন্ত্রাসবিরোধী আইনে আনিস আলমগীরসহ আরও তিনজনের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে টক শো এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচার চালানো এবং নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার।

সিপিজের এশিয়া-প্যাসিফিক প্রোগ্রামের সমন্বয়কারী কুনাল মজুমদার বলেন, ‘সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা গণতন্ত্রের একটি মূল স্তম্ভ। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনের কয়েক মাস আগে একজন সাংবাদিককে আটক করতে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ব্যবহার সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার প্রতি সরকারের অঙ্গীকার নিয়ে গুরুতর উদ্বেগ তৈরি করেছে। বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষকে অবিলম্বে আনিস আলমগীরকে মুক্তি দিতে হবে এবং সরকারের সমালোচনা করে মত প্রকাশের কারণে সাংবাদিকদের নিশানা করা বন্ধ করতে হবে।’

বাংলাদেশে আগামী জাতীয় নির্বাচন ১২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, আনিস আলমগীর ২০০১ সালে আফগানিস্তান এবং ২০০৩ সালে ইরাক থেকে যুদ্ধসংক্রান্ত প্রতিবেদন করে পরিচিতি পান। জ্যেষ্ঠ এই সাংবাদিককে ১৪ ডিসেম্বর (রোববার) রাজধানীর একটি ব্যায়ামাগার থেকে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) গ্রেপ্তার করে।

এক ব্যক্তির মামলার ভিত্তিতে আনিস আলমগীরকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। মামলার বাদী নিজেকে জুলাই আন্দোলনের একজন সংগঠক হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন।

সিপিজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দোষী সাব্যস্ত হলে আনিস আলমগীরের সর্বোচ্চ শাস্তি হতে পারে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং বড় অঙ্কের জরিমানা। তবে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের কোন ধারায় মামলা হয়েছে, তা তারা নিশ্চিত করতে পারেনি। কারণ তদন্ত শুরুর আনুষ্ঠানিক নথি বা এফআইআরের কপি তারা সংগ্রহ করতে পারেনি।

সিপিজের নথিপত্রে দেখা গেছে, সম্প্রতি বাংলাদেশে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। শুধু ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে অন্তত ১৭ জন সাংবাদিক হামলার শিকার হয়েছেন। নিরাপত্তা-সংক্রান্ত আইনের অধীনে একাধিক গ্রেপ্তার ও আটকও ঘটেছে।

এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে সিপিজে ঢাকা মহানগর পুলিশের সঙ্গে ই-মেইলে যোগাযোগ করেছেন, তবে তারা তাৎক্ষণিক কোনো জবাব দেননি।

Fetching live reactions...
Was this article helpful?

Comments

Comments

Loading comments…
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন