[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

ধর্মের নামে ভোট চাওয়া হচ্ছে: নাহিদ ইসলাম

প্রকাশঃ
অ+ অ-

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর শাহবাগে ‘আগ্রাসনবিরোধী পদযাত্রা’ করে জাতীয় নাগরিক পার্টি | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

ভোটের রাজনীতি ও জাতীয় রাজনীতিতে ধর্মের নামে ভোট চাওয়ার অভিযোগ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।

আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর শাহবাগে ‘আগ্রাসনবিরোধী পদযাত্রা’ পরবর্তী সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আজ বিকেলে রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক ঘুরে শাহবাগ পর্যন্ত পদযাত্রা করেছে এনসিপি।

নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশ ৯০ শতাংশ মুসলমানের দেশ। এখানে আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগীরা বাদে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও এনসিপিসহ বাকি সব দলই মুসলমানদের স্বার্থ রক্ষা করে রাজনীতি করে। ফলে মুক্তিযুদ্ধের নামে বা ইসলামের নামে দেশকে বিভাজন করা যাবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ ও ইসলামকে মুখোমুখি দাঁড় করানোর রাজনীতি গত ৫৪ বছর ধরে চলছে। আমরা সেই রাজনীতি থেকে বের হয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলব। ইসলামও আমার, মুক্তিযুদ্ধও আমার, জুলাইও আমার—এগুলো একে অপরের অবিচ্ছেদ্য অংশ। যারা এগুলোকে বিভক্ত করতে চায়, তারাই ফ্যাসিবাদ কায়েম করতে চায়, জাতিকে বিভক্ত করতে চায়।’

এনসিপি আধিপত্যবাদবিরোধী লড়াই শুরু করেছে উল্লেখ করে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আজ আমরা ১৬ ডিসেম্বর আগ্রাসনবিরোধী যাত্রা করেছি। ১৯৭২ সালের ১৬ ডিসেম্বরও এই কর্মসূচি পালিত হয়েছিল। সেই লড়াই আমরা ১৯৭১ সালের মধ্যেই শুরু করেছিলাম। মেজর জলিলরা লড়াই শুরু করেছিলেন, ভাসানীরা লড়াই শুরু করেছিলেন। আমরা সেই লড়াইকে ধারণ করি।’

তিনি আরও বলেন, ‘১৯৭১ সালের স্বাধীনতা সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আমরা স্বাধীন ভূখণ্ড পেয়েছিলাম, কিন্তু সার্বভৌমত্ব পুরোপুরি অর্জন করতে পারিনি। বাংলাদেশে একটি তাঁবেদারি রাষ্ট্র ও তাঁবেদারি সরকার বারবার কায়েম করার চেষ্টা করেছে পার্শ্ববর্তী দেশ। ফলে আমাদের লড়াই কখনো শেষ হয়নি।’

শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, আবুল হাশিম ও যোগেন মণ্ডল—এই পাঁচ নেতার ছবি এনসিপির পদযাত্রার সম্মুখসারিতে নেতাদের হাতে ছিল। নাহিদ বলেন, এই পাঁচ নেতা যে আকাঙ্ক্ষা নিয়ে রাজনীতি করেছেন, সেটি আমরা ধারণ করি।

এ সময় ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির ওপর গুলির ঘটনার মাধ্যমে গণ-অভ্যুত্থান ও বাংলাদেশকে আক্রান্ত করা হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। নাহিদ ইসলাম বলেন, এই মুহূর্তে আমাদের দুটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব আছে। প্রথম, নিজেদের নিরাপত্তা নিজেদেরকেই নিতে হবে। জনগণ ছাড়া আমাদের আর কোনো নিরাপত্তা বাহিনী নেই। পুলিশ-প্রশাসন যদি ব্যর্থ হয়, আমরা পাল্টা আঘাত চালাবো। তবে আমরা এখনও সরকারের ওপর আস্থা রাখতে চাই। আমরা চাই, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হোক। অতি দ্রুত হাদির ওপর আক্রমণকারীদের গ্রেপ্তার করতে হবে।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশের বিজয় দিবসকে ‘ভারতের বিজয় দিবস’ হিসেবে উল্লেখের প্রসঙ্গে সমাবেশে এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেন, ‘ভারতের বিজয় হিসেবে দেখানোর মাধ্যমে মোদি ইতিহাস বিকৃত করেছেন। অবিলম্বে তাকে বক্তব্য প্রত্যাহার করতে হবে। অন্তর্বর্তী সরকারকে বলতে হবে, রাষ্ট্রীয়ভাবে ইতিহাস বিকৃতির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, আসন্ন ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন সংস্কার ও দেশকে নতুন করে গড়ার নির্বাচন হিসেবে হবে। সংস্কারের পক্ষে জনগণ যাতে হ্যাঁ ভোট দেয়, তার জন্য আমরা প্রচার চালাবো।

সমাবেশে অন্যদের মধ্যে এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্য সচিব তাসনিম জারা, জাতীয় ছাত্রশক্তির সভাপতি জাহিদ আহসান ও জাতীয় যুবশক্তির আহ্বায়ক তারিকুল ইসলাম বক্তব্য দেন।

Fetching live reactions...
Was this article helpful?

Comments

Comments

Loading comments…
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন