[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

ব্রাহ্মণবাড়িয়া–২ আসনে জোট সমীকরণে আসছে ত্রিমুখী লড়াই

প্রকাশঃ
অ+ অ-
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সহসভাপতি জুনায়েদ আল হাবিবী, সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহসম্পাদক রুমিন ফারহানা ও জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য মোবারক হোসেন | গ্রাফিক্স: পদ্মা ট্রিবিউন

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি দুই দফায় ২৭২টি আসনের প্রার্থী ঘোষণা করেছে। তবে আলোচিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া–২ (সরাইল–আশুগঞ্জ ও বিজয়নগরের একাংশ) আসনে এখনও কোনো প্রার্থী ঘোষণা করা হয়নি। আসনটি ফাঁকা রাখা হয়েছে। জোটের শরিক দল জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশকে দেওয়া হতে পারে এই আসন।

বিএনপির সঙ্গে জমিয়তের আসন সমঝোতা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে শরিক দলকে চারটি আসন দেওয়ার বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। তার মধ্যে একটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া–২।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া–২ আসনটি বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী এখানে সাতটি নির্বাচনে অংশ নিয়ে ছয়বার জয়ী হয়েছেন। লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী ৯ বার লড়াই করে তিনবার জিতেছেন, নৌকা প্রতীকের প্রার্থী পাঁচবার লড়াই করে একবার জিতেছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী দুইবার জয়ী হয়েছেন। এই আসনে বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোট শরিকদের দুবার ছাড় দিয়ে একবার জিতেছে। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট তাদের শরিকদের পাঁচবার ছাড় দিয়ে দুইবার জয় পেয়েছে।

এ আসনে এখনও প্রার্থী ঘোষণা না করায় গুঞ্জন রয়েছে, বিএনপি জোটের শরিক কাউকে ছাড় দিতে পারে। এখানে বিএনপির চারজন দীর্ঘদিন ধরে মাঠে রয়েছেন। তারা হলেন সংরক্ষিত আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহসম্পাদক রুমিন ফারহানা, জেলা বিএনপির উপদেষ্টা ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শেখ মো. শামীম, জেলা বিএনপির সদস্য আহসান উদ্দিন খান এবং বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্টের মহাসচিব এস এন তরুণ দে।

এই চার প্রার্থীর মধ্যে অনেকেই প্রচারণায় রয়েছেন। তবে রুমিন ফারহানা হাল ছাড়েননি। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে থেকেই তিনি মাঠে আছেন। এখনও নিয়মিত গণসংযোগ ও সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশ নিচ্ছেন। তার জনপ্রিয়তা রয়েছে। দলীয় মনোনয়ন না পেলেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তিনি প্রচারণা চালাচ্ছেন। তিনি জানিয়েছেন, মার্কা যা-ই হোক, সরাইল–আশুগঞ্জ থেকেই তিনি লড়বেন।

জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের (খেজুরগাছ) সহসভাপতি জুনায়েদ আল হাবিবীও এবারও আসনটি পেতে পারেন, এমন গুঞ্জন রয়েছে। তিনি নিজেও এমন কথা প্রচার করছেন।

নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ নেই নিষিদ্ধ দল আওয়ামী লীগের। আওয়ামী লীগের জোটের প্রধান শরিক জাতীয় পার্টি (জাপা) থেকেও কোনো প্রার্থী দেখা যাচ্ছে না। তবে শেষ পর্যন্ত জাপার দুইবারের সাবেক সংসদ সদস্য জিয়াউল হক মৃধা আসনটি লড়তে পারেন।

জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বাধীন ৮–দলীয় জোটের মধ্যে জেলা কমিটির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য মোবারক হোসেন মাঠে রয়েছেন। আগে পরিচিতি কম থাকলেও কয়েক মাস ধরে গণসংযোগ ও উঠান বৈঠকে এখন পরিচিতি পেয়েছেন। এছাড়া শরিক ইসলামী আন্দোলনের (হাতপাখা) নেছার আহমাদ আন নাছিরীও প্রার্থী হিসেবে মাঠে রয়েছেন এবং মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

শেষ পর্যন্ত যদি বিএনপি জোটের প্রার্থী হন জুনায়েদ আল হাবিবী, ৮–দলীয় জোটের প্রার্থী হন মোবারক হোসেন, আর রুমিন ফারহানা স্বতন্ত্র প্রার্থী হন, তবে লড়াই হবে ত্রিমুখী।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া–২ আসনটি বর্তমানে সরাইল, আশুগঞ্জ ও বিজয়নগর উপজেলার একাংশ নিয়ে গঠিত। এখানে মোট ভোটার আছেন ৪ লাখ ৯৯ হাজার ৪৪৮ জন। সরাইলের ৯টি ইউনিয়নে ভোটার ২ লাখ ৮৮ হাজার ৬০৯, আশুগঞ্জের ৮টি ইউনিয়নে ১ লাখ ৫৩ হাজার ৯৯, এবং বিজয়নগরের দুইটি ইউনিয়নে ৫৭ হাজার ৭৪০ জন।

Fetching live reactions...
Was this article helpful?

Comments

Comments

Loading comments…
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন