চাঁপাইনবাবগঞ্জ–২ আসনে বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে রেললাইনে বিক্ষোভ
![]() |
| চাঁপাইনবাবগঞ্জ -২ আসনে বিএনপির প্রার্থী বদলের দাবিতে দলের একাংশের নেতা–কর্মীরা রেললাইনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন। রোববার বেলা পৌনে ১১টার দিকে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
চাঁপাইনবাবগঞ্জ–২ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী আমিনুল ইসলামকে পরিবর্তনের দাবিতে রেললাইনের ওপর বিক্ষোভ করেছেন দলটির নেতা–কর্মীদের একাংশ। আজ রোববার বেলা পৌনে ১১টার দিকে নাচোল রেলস্টেশনের সামনে এ বিক্ষোভ হয়।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ–২ আসনটি গোমস্তাপুর, নাচোল ও ভোলাহাট নিয়ে গঠিত। এই আসনে বিএনপির মনোনয়ন চেয়েছিলেন সংরক্ষিত আসনের সাবেক সাংসদ আসিফা আশরাফী (পাপিয়া), জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম (তুহিন), জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক মাসুদা আফরোজ হক, প্রকৌশলী এমদাদুল হক এবং রতনপুর পৌর মেয়র তারিক আহমেদ। তবে দলটি প্রাথমিকভাবে কেন্দ্রীয় শিল্প–বাণিজ্যবিষয়ক সহসম্পাদক ও সাবেক সাংসদ আমিনুল ইসলামকে মনোনয়ন দিয়েছে। এতে অন্যরা অসন্তুষ্ট হয়ে তাঁর মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে আন্দোলন করছেন।
স্থানীয় বাসিন্দাদের ভাষ্য, সকালে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু তাহেরের নেতৃত্বে আমিনুল ইসলাম–বিরোধী নেতা–কর্মীরা জড়ো হয়ে রেললাইনের ওপর বিক্ষোভ শুরু করেন। তাঁরা নানা স্লোগান দেন এবং আমিনুল ইসলামের প্রার্থিতা পরিবর্তনের দাবি জানান। এ সময় রাজশাহী থেকে ছেড়ে আসা রহনপুরগামী কমিউটার ট্রেনটি কিছুক্ষণ প্ল্যাটফর্মের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকে, পরে আবার চলাচল শুরু করে।
২০১৮ সালের নির্বাচিত আওয়ামী লীগ সংসদকে বৈধতা দেওয়া, আন্দোলনের কোনো কর্মসূচিতে না থাকা, ২০২১ সালের পৌর নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর বিপক্ষে অবস্থান নেওয়া এবং এলাকায় নিয়মিত না থাকা—এসব অভিযোগ রয়েছে আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে বলে জানান আবু তাহের। এ কারণে তাঁর প্রার্থিতা পরিবর্তনের দাবিতে রেললাইনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
অন্যদিকে বিক্ষোভকারীরা সরে যাওয়ার পর আমিনুল ইসলামের সমর্থকেরা স্টেশন এলাকায় একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। প্রতিপক্ষের বিক্ষোভ কর্মসূচি নিয়ে আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘আমি এসব কর্মসূচিকে কোনো গুরুত্ব দিচ্ছি না। আমি আমার মতো করে কাজ করে যাচ্ছি। তাঁদের (বিরোধীদের) সম্পর্কে আমি কোনো প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে চাই না।’
রেললাইনে বিক্ষোভের বিষয়ে নাচোল থানার ওসি শহিদুল ইসলাম জানান, 'বিএনপির নেতা–কর্মীরা জড়ো হওয়ার খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে গিয়ে সবাইকে রেললাইন থেকে সরিয়ে দেয়। ফলে ট্রেন চলাচলে কোনো বাধা হয়নি।'

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন