আক্কেলপুরে বিএনপির দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, আহত ২
![]() |
| জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে বিএনপির মনোনয়নবঞ্চিত গোলাম মোস্তফার কর্মী-সমর্থকদের ধাওয়া করছেন দলীয় প্রার্থী আবদুল বারীর সমর্থকেরা। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে নবাবগঞ্জ সেতু এলাকায় | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে বিএনপির মনোনয়নবঞ্চিত সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মোস্তফা ও দলীয় প্রার্থী আবদুল বারীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় গোলাম মোস্তফার দুই সমর্থক আহত হয়েছেন। ঘটনা ঘটে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে আক্কেলপুর পৌর শহরের পৃথক দুটি স্থানে।
পুলিশ, প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জয়পুরহাট-২ (কালাই, ক্ষেতলাল-আক্কেলপুর) আসনে সাবেক সচিব আবদুল বারীকে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা করা হয়। মনোনয়ন ঘোষণার পর মনোনয়নবঞ্চিত গোলাম মোস্তফার কর্মী-সমর্থকেরা ক্ষুব্ধ হয়ে দুই দিন ধরে বিক্ষোভ ও মশাল মিছিল করছিলেন।
বৃহস্পতিবার তারা আক্কেলপুর পৌর শহরে বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করেন। সকাল ১০টার পর উপজেলা পরিষদ চত্বরে জড়ো হতে থাকেন। বেলা সাড়ে ১১টায় মিছিল শুরু হওয়ার আগে আবদুল বারীর পক্ষের নেতা-কর্মীরা সেখানে গিয়ে এক হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে গোলাম মোস্তফার কর্মী-সমর্থকদের ধাওয়া দিয়ে ছত্রভঙ্গ করা হয়।
এরপর গোলাম মোস্তফার কর্মী-সমর্থকরা নবাবগঞ্জ সেতুর পূর্ব পাশে গিয়ে মিছিল করেন। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে গোলাম মোস্তফার পক্ষের আপেল মাহমুদ ও আইয়ুব আলী আহত হন।
গোলাম মোস্তফার সমর্থক আপেল মাহমুদ বলেন, ‘দীর্ঘ ১৭ বছর মাঠে থেকে বিএনপির জন্য রাজপথে গোলাম মোস্তফা আন্দোলন-সংগ্রাম করেছেন। আমরা অনেক জুলুম–নির্যাতন সহ্য করেছি। আমাদের আশা ছিল এবার আমাদের নেতা মনোনয়ন পাবেন। কিন্তু তাঁকে বঞ্চিত করে একজন অরাজনৈতিক ব্যক্তিকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। আমরা এর প্রতিবাদে আজ বিক্ষোভ মিছিলের প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। হঠাৎ বারী সাহেবের কর্মী-সমর্থকরা লাঠিসোঁটা নিয়ে আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালান।’
উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আরিফ ইফতেখার বলেন, ‘আজ হঠাৎ ধানের শীষের প্রার্থীর বিপক্ষে কয়েকজন বিক্ষোভ করার চেষ্টা করছিলেন। আমরা তাঁদের বুঝিয়ে সরিয়ে দিয়েছি। আমরা সবাই ধানের শীষের প্রার্থীর পক্ষে ঐক্যবদ্ধ আছি।’
আক্কেলপুর থানার ওসি শফিকুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় থানায় এখনো কেউ কোনো অভিযোগ করেনি।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন