রূপপুরে বিকট শব্দ ও বাষ্প নির্গমনে বিপদের ঝুঁকি নেই: পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ কর্তৃপক্ষ
![]() |
| রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পের চুল্লি | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ কর্তৃপক্ষ বাষ্প নির্গমন পরীক্ষা নিয়ে জনসচেতনতামূলক একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। এতে বলা হয়েছে, পরীক্ষার অংশ হিসেবে উচ্চ চাপের বাষ্প সুনির্দিষ্ট ভালভের মাধ্যমে বায়ুমণ্ডলে নির্গত করা হবে। পরীক্ষার সময় বাষ্প নির্গমনের ফলে বিকট শব্দ (জেট ইঞ্জিনের মতো) সৃষ্টি হতে পারে, যা কিছুক্ষণ স্থায়ী হবে।
আজ বুধবার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ কর্তৃপক্ষের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, পরীক্ষা সম্পন্ন হতে কমপক্ষে চার থেকে পাঁচ দিন লাগতে পারে। পরীক্ষার সময় শব্দ ও বাষ্প নির্গমন সম্পূর্ণ স্বাভাবিক, পূর্বনির্ধারিত ও নিরাপদ। জনসাধারণের জন্য এতে কোনো ঝুঁকি বা বিপদ নেই।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পে নিয়োজিত রাশিয়ার ঠিকাদারি সংস্থা এই পরীক্ষার কথা জানিয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার প্রকল্প এলাকার মেইনস্টিম পাইপলাইন ও স্টিম জেনারেটরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে একটি পরিকল্পিত বাষ্প নির্গমন পরীক্ষা শুরু হবে। এটি একটি নিয়মিত কারিগরি প্রক্রিয়া, যা পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের স্থায়িত্ব ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য করা হয়।
রাশিয়ার আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় পাবনার রূপপুরে নির্মাণ করা হচ্ছে দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন পরমাণু শক্তি কমিশন। এ প্রকল্পের আওতায় ঠিকাদার হিসেবে ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াটের দুটি ইউনিট নির্মাণ করছে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পরমাণু সংস্থা রোসাটমের সহযোগী প্রতিষ্ঠান অ্যাটমস্ট্রয়এক্সপোর্ট। দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় একক প্রকল্প রূপপুরে খরচ হচ্ছে প্রায় ১ লাখ ১৪ হাজার কোটি টাকা।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন