[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী দেখলেই ব্রাশফায়ারের নির্দেশ দিলেন চট্টগ্রাম পুলিশ কমিশনার

প্রকাশঃ
অ+ অ-

চট্টগ্রাম নগর পুলিশ কমিশনার মো. হাসিব আজিজ | ছবি: পুলিশের সৌজন্যে

সন্ত্রাসীদের দেখামাত্র সাবমেশিনগান (এসএমজি) থেকে ব্রাশফায়ার করার নির্দেশ দিয়েছেন চট্টগ্রাম নগর পুলিশ কমিশনার হাসিব আজিজ। আজ মঙ্গলবার দুপুরে তিনি মৌখিকভাবে নিজস্ব বেতার বার্তায় থানা ও টহল পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশে এ নির্দেশ দেন। বেতার বার্তায় পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘শটগান হবে না, চায়না রাইফেলও বাদ, এখন এসএমজি ব্রাশফায়ার মুডে থাকবে।’

বেতার বার্তায় টহল টিমগুলোকে যেকোনো পরিস্থিতি ও নাশকতা এড়াতে এসএমজি ছাড়াও শটগান, দুইটি গ্যাসগান এবং টিম ইনচার্জকে নাইন এমএম পিস্তল বহন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া স্থায়ী চেকপোস্ট সাতটি থেকে বাড়িয়ে তেরোটি করতে বলা হয়েছে। সব দায় কমিশনার নিজেই বহন করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

নগর পুলিশ কমিশনার হাসিব আজিজ বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘বাইরে থেকে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা এসে নগরবাসীকে গুলি করে চলে যাবে, তা হতে পারে না। এ জন্য সন্ত্রাসীদের দেখামাত্র এসএমজি দিয়ে ব্রাশফায়ার করার নির্দেশ দিয়েছি। দেখামাত্র ব্রাশফায়ার নিরস্ত্র জনসাধারণের জন্য নয়। যার হাতে অস্ত্র নেই, তার ওপর তো আর এসএমজি ব্যবহার করব না।’

এক প্রশ্নের উত্তরে পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ সংগঠন। আওয়ামী লীগের কার্যক্রমও নিষিদ্ধ। নিষিদ্ধ এই জঙ্গি সংগঠন যদি অরাজকতা করতে রাস্তায় নামে, তাদের গ্রেপ্তার করা হবে। গুলি চালানো হবে না। গ্রেপ্তার করে তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা হবে এবং আদালতে পাঠানো হবে।’

পুলিশ কমিশনার আরও বলেন, ‘সন্ত্রাসী সরোয়ার বাবলা হত্যায় জড়িত কয়েকজন আসামিকে আগে আমরা ধরে দিয়েছিলাম। কিন্তু বেশি দিন তাঁরা কারাগারে থাকেননি। কয়েক সপ্তাহ পর জামিনে বেরিয়ে আসেন।’

গত বুধবার সন্ধ্যায় নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থানার চালিতাতলীর খন্দকারপাড়া এলাকায় চট্টগ্রাম-৮ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী এরশাদ উল্লাহর জনসংযোগ বহরে গুলিতে তিনিসহ পাঁচজন আহত হন। তাঁদের মধ্যে মারা যান জনসংযোগ বহরে থাকা ‘সন্ত্রাসী’ সরোয়ার হোসেন। পুলিশ জানায়, সরোয়ারের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, অস্ত্র, হত্যাসহ ১৫টি মামলা রয়েছে।

ওই ঘটনা নিয়ে নগরজুড়ে উত্তেজনা চলার মধ্যে শুক্রবার নগরের হালিশহর মাইজপাড়া এলাকায় মো. আকবর নামের এক ব্যক্তিকে রাস্তায় প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে থানায় মাদকের মামলা রয়েছে।

এর আগে, ব্যানার ছেঁড়াকে কেন্দ্র করে গত ২৭ অক্টোবর নগরের বাকলিয়া বগার বিলের মুখ এলাকায় ছাত্রদলের কর্মী মো. সাজ্জাদকে (২২) গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় অন্তত ১০ জন গুলিবিদ্ধ হন।

একটি মন্তব্য করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন