এসবির হিসাবে ২৮ হাজার ৬৬৩টি ভোটকেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ
![]() |
| নির্বাচন | প্রতীকী ছবি |
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৮ হাজার ৬৬৩টি ভোটকেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি)। এর মধ্যে ৮ হাজার ২২৬টি ভোটকেন্দ্রকে ‘অধিক ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
নির্বাচন কমিশন সূত্র জানায়, গত ২০ অক্টোবর নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও প্রাক্-প্রস্তুতিমূলক বৈঠকে এসবি এই তথ্য জানিয়েছিল। আজ রোববার ওই বৈঠকের কার্যবিবরণী অনুমোদন করা হয় এবং সেখানে এই তথ্যও উল্লেখ করা হয়েছে।
এই নির্বাচনে মোট ভোটকেন্দ্র থাকবে ৪২ হাজার ৭৬১টি, যা অনুযায়ী এবার প্রায় ৬৭ শতাংশ ভোটকেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ।
কার্যবিবরণীতে দেখা গেছে, ইসির বৈঠকে বিভিন্ন বাহিনীর পক্ষ থেকে কেন্দ্র দখল, ব্যালট ছিনতাই ও ভোট প্রদানে বাধার সম্ভাবনা সম্পর্কে শঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।
সেনাবাহিনী প্রধানের প্রতিনিধি বলেন, নির্বাচনে সেনাবাহিনীকে বিচারিক ক্ষমতা দেওয়া হলে তারা আরও কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবে। প্রয়োজন অনুযায়ী ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা ও নির্বাচনী মালামালের নিরাপত্তা রক্ষায় সেনাবাহিনীকে ভোটকেন্দ্রে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া যেতে পারে। এছাড়া অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের কার্যক্রম, নির্বাচনী কাজের জন্য ড্রোন ব্যবহারের অনুমতি, এবং চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও অস্ত্রধারীদের গ্রেপ্তারে বিশেষ অভিযান অব্যাহত রাখা যেতে পারে।
সেনাবাহিনী আরও বলেছে, ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা, ভোটার ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাহিনীর মধ্যে অন্তঃসমন্বয় থাকা জরুরি। নির্বাচনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ওপর হামলা, কেন্দ্র দখল, ব্যালট ছিনতাই, ভোট প্রদানে বাধা এবং বসতবাড়িতে হামলা বা অগ্নিসংযোগের আশঙ্কা থাকতে পারে।
‘ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার’ এর আওতায় সারা দেশে ৬২টি জেলায় সেনাবাহিনী মোতায়েন রয়েছে। নির্বাচনের আগের তিন দিন, নির্বাচনের দিন এবং নির্বাচনের পরবর্তী চার দিনসহ মোট আট দিন সেনাবাহিনী মোতায়েন রাখা যেতে পারে।
এসবির পক্ষ থেকে বৈঠকে বলা হয়, নির্বাচনকালে অবৈধ অস্ত্রের জোগান হতে পারে। পাশাপাশি অবৈধ অর্থের প্রবাহ নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব সিআইডিকে দেওয়া যেতে পারে।
বৈঠকে সিআইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়, সোশ্যাল মিডিয়া ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহার করে নির্বাচনে গুজব ছড়ানো হতে পারে। ইতিমধ্যেই এমন অনেক কনটেন্ট শনাক্ত করা হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এ কাজে র্যাবের সাইবার ইউনিট দায়িত্ব পালন করছে।
বৈঠকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দীন বলেন, ‘অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনের মাধ্যমে মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে। নির্বাচন পরিচালনা একটি সাংবিধানিক দায়িত্ব। কমিশনের একার পক্ষে দেশব্যাপী এক দিনে এত বড় নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব নয়। এজন্য সবার সম্মিলিত সহযোগিতা প্রয়োজন। আসন্ন নির্বাচনে অনেক প্রতিকূলতা ও চ্যালেঞ্জ থাকতে পারে, কিন্তু সমন্বয় এবং আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করলে তা মোকাবিলা করা সম্ভব হবে।’

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন