[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

শ্রম আইন সংশোধন: ২০ জনের সম্মতিতেই ট্রেড ইউনিয়ন করা যাবে

প্রকাশঃ
অ+ অ-
মে দিবসে অধিকার আদায়ের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে বাংলাদেশের বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন | ফাইল ছবি

এত দিন কোনো কারখানা বা প্রতিষ্ঠানে ট্রেড ইউনিয়ন করতে গেলে ২০ শতাংশ শ্রমিকের সম্মতি লাগত। এখন থেকে এই শতকরা হার থাকছে না। ট্রেড ইউনিয়ন নিবন্ধনের ক্ষেত্রে কারখানার মোট শ্রমিকসংখ্যার বিপরীতে কতজনের সম্মতি লাগবে, সেটি নির্ধারিত করা হয়েছে। তবে ন্যূনতম ২০ জনের সম্মতি থাকলেই ইউনিয়ন করা যাবে।

শ্রম আইন (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫-এ এই বিধান রাখা হয়েছে। সরকার আজ মঙ্গলবার অধ্যাদেশটি জারি করেছে। এর আগে গত ২৩ অক্টোবর উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সংশোধনের বিষয়টি নীতিগত ও চূড়ান্তভাবে অনুমোদিত হয়।

অধ্যাদেশ অনুযায়ী, কোনো প্রতিষ্ঠানে ২০ থেকে ৩০০ জন শ্রমিক থাকলে ট্রেড ইউনিয়ন করতে চাইলে ২০ জনের সম্মতি লাগবে। ৩০১ থেকে ৫০০ শ্রমিকের প্রতিষ্ঠানে ৪০ জনের, ৫০১ থেকে ১ হাজার ৫০০ শ্রমিকের প্রতিষ্ঠানে ১০০ জনের, ১ হাজার ৫০১ থেকে ৩ হাজার শ্রমিকের কারখানায় ৩০০ জনের এবং ৩ হাজার ১ থেকে তার বেশি শ্রমিক থাকলে ৪০০ জনের সম্মতি লাগবে। একটি প্রতিষ্ঠানে ৫টির বেশি ট্রেড ইউনিয়ন করা যাবে, আগে সর্বোচ্চ তিনটি করা যেত।

সাধারণত মজুরি বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন দাবিদাওয়া আদায়ে আন্দোলনে নামতে বাধ্য হন শ্রমিকরা। তাদের আন্দোলন ঠেকাতে শিল্পমালিকেরা অনেক সময় শ্রমিকদের চাকরিচ্যুত করার পাশাপাশি কালোতালিকাভুক্ত করেন। তখন শ্রমিকদের নতুন কারখানায় চাকরি পাওয়া কঠিন হয়ে যায়। সংশোধিত শ্রম আইন অধ্যাদেশে শ্রমিকদের কালোতালিকাভুক্ত করার বিষয়টি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, কোনো শ্রমিক বা ইউনিয়নের কোনো সদস্যকে কোনো কারণে চাকরির অবসান হলে তাকে কালোতালিকাভুক্ত করা, নোটিশ জারি করা বা তথ্যভান্ডারে অন্তর্ভুক্ত করা যাবে না। এছাড়া মালিক বা মালিকদের সংগঠনের নিয়ন্ত্রণে শ্রমিক সংগঠন প্রতিষ্ঠাকে উদ্বুদ্ধ করা যাবে না। পক্ষপাতমূলকভাবে বিদ্যমান ট্রেড ইউনিয়নের কর্মকর্তাদের বরখাস্ত করা বা অন্য ট্রেড ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠায় উদ্বুদ্ধ করাও নিষিদ্ধ।

এত দিন শ্রম আইনে শ্রমিকদের সুবিধার জন্য ভবিষ্য তহবিল গঠনের কথা বলা থাকলেও তা বাধ্যতামূলক ছিল না। এবার তা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, ১০০ স্থায়ী শ্রমিক থাকলেই মালিকপক্ষকে শ্রমিকের জন্য ভবিষ্য তহবিল গঠন করতে হবে। তবে বিকল্প ব্যবস্থার কথাও বলা হয়েছে।

কোনো প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের সর্বজনীন পেনশন স্কিমে অংশগ্রহণ করতে চাইলে মালিকপক্ষ ভবিষ্য তহবিল গঠনের বাধ্যতা থেকে অব্যাহতি পাবে। এই স্কিমে মালিক ৫০ শতাংশ এবং শ্রমিক ৫০ শতাংশ চাঁদা দেবেন। কোনো সদস্য স্কিমে থাকতে না চাইলে লিখিতভাবে মালিকপক্ষকে জানাতে হবে, তখন মালিকপক্ষের ৫০ শতাংশ চাঁদা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা থাকবে না।

একটি মন্তব্য করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন