[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

বাজারে সবজির সরবরাহ বাড়লেও দাম চড়া

প্রকাশঃ
অ+ অ-
সবজি | ফাইল ছবি

বাজারে শীতের সবজির সরবরাহ বেড়েছে, তবুও দাম কমেনি। বরং দুই সপ্তাহ আগে তুলনায় বেশির ভাগ সবজির কেজি দর বেড়েছে প্রায় ২০ টাকা। কিছু সবজির দাম দ্বিগুণ হয়েছে। তবে আলোচনায় থাকা পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমেছে। কাঁচামরিচের দাম অর্ধেকে নেমেছে। ডিম, মুরগি ও অন্যান্য নিত্যপণ্যের দাম স্বাভাবিক রয়েছে। এদিকে, ভোজ্যতেলের দাম বাড়তে পারে এমন আলোচনা ব্যবসায়ীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে।

সবজি ব্যবসায়ীরা জানান, সরবরাহ বেড়লেও উৎপাদন এলাকায় সবজির দাম বেশি। এর প্রভাব পড়ছে পাইকারি ও খুচরা বাজারে। বুধবার রাজধানীর আগারগাঁও, মহাখালী ও কারওয়ান বাজার ঘুরে এবং ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

শীতের সবজির সরবরাহ বাড়ার কারণে দুই সপ্তাহ আগে বাজার কিছুটা স্বাভাবিক ছিল। বেশির ভাগ সবজির দাম তখন ২০ থেকে ৩০ টাকা কমেছিল। তবে গত দুই সপ্তাহ ধরে আবার বাজার চড়া শুরু করেছে। দুই সপ্তাহ আগে শিমের কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হতো, গতকাল তা বিক্রি হয়েছে ১০০ থেকে ১২০ টাকায়। বরবটি ও উচ্ছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়, যা দুই সপ্তাহ আগে ১০ টাকা কমে পাওয়া যেত। ঢ্যাঁড়শ ও পটোলের কেজি ছিল ৪০ থেকে ৫০ টাকা, এখন ৫০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মাঝারি আকারের ফুল ও বাঁধাকপি কেজি প্রতি ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

কাঁচামরিচের দাম গত সপ্তাহের তুলনায় প্রায় অর্ধেক কমেছে। আগের সপ্তাহে কেজি প্রতি ১৮০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হত, এখন তা ১০০ থেকে ১২০ টাকায়।

নতুন আলু বাজারে এসেছে এবং ভালো দাম পাচ্ছে। প্রতি কেজি আলুর দাম ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা। পুরোনো আলুর দামও বেড়েছে, এখন ২২ থেকে ২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

আগারগাঁও কাঁচাবাজারের সবজি ব্যবসায়ী সাইফুল আলম বলেন, কারওয়ান বাজার ও মিরপুর-১ নম্বরে পাইকারি পর্যায়ে সবজির দাম বেড়েছে, তাই খুচরায় দাম বাড়ছে। কারওয়ান বাজারের আড়তদার ইদ্রিস আলি জানান, উৎপাদন এলাকায় সবজির দাম বেশি। নতুন সবজির ভালো দাম পাচ্ছে কৃষক, এজন্য ঢাকায় দাম বেড়েছে। তিনি বলেন, গত মাসে বৃষ্টির কারণে ক্ষেতে পানি জমে কিছু গাছ মারা গেছে, কৃষক তা পুষিয়ে নিচ্ছে।

সবজির দাম চড়া হলেও ডিম ও মুরগির বাজারে কিছুটা স্থিরতা আছে। ফার্মে প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়, যদিও পাড়া-মহল্লায় ১২৫ টাকায় বিক্রি দেখা গেছে। মুরগির দামও গত সপ্তাহের মতো স্থির; ব্রয়লার প্রতি কেজি ১৬০ থেকে ১৭০ এবং সোনালি জাতের মুরগি ২৬০ থেকে ২৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মাছ-মাংসের দামেও বিশেষ পরিবর্তন নেই।

কয়েকজন খুচরা ব্যবসায়ী জানান, বিভিন্ন কোম্পানির প্রতিনিধি জানিয়েছে, সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ৫ থেকে ৬ টাকা বাড়তে পারে। তবে সরবরাহে ঘাটতি দেখা যায়নি।

১৫ থেকে ২০ দিন আগে অস্থির হওয়া পেঁয়াজের বাজার আরও কমতির দিকে। গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিতে ৫ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১০৫ টাকায়। পাতাযুক্ত নতুন পেঁয়াজের কেজি কেনা যাচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়।

বাজারে দাম বাড়ার কারণে পেঁয়াজ আমদানি করা নিয়ে আলোচনা হলেও কৃষকের স্বার্থ রক্ষায় শেষ পর্যন্ত আমদানি হবে না বলে জানিয়েছেন কৃষি ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

একটি মন্তব্য করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন