কক্সবাজার থেকে র্যাবের ৪ শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বদলি
| র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন |
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-১৫ কক্সবাজার অঞ্চলের চার শতাধিক কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে র্যাব সদর দপ্তর বদলি করেছে। ১৯ থেকে ২৭ নভেম্বরের মধ্যে পর্যায়ক্রমে এ বদলি কার্যক্রম সম্পন্ন হয়। এর মধ্যে তিন দিন আগে কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল কামরুল ইসলামকে ঢাকার র্যাব সদর দপ্তরে স্থানান্তর করা হয়েছে।
র্যাবের একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, কিছু কর্মকর্তার বদলির কারণ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে তাদের জড়িত থাকার অভিযোগ।
সূত্রটি জানায়, সমুদ্র এবং মিয়ানমার সীমান্তবর্তী কক্সবাজার জেলার নিরাপত্তার জন্যই র্যাব-১৫ ব্যাটালিয়ন গঠন করা হয়েছে। অন্যান্য ব্যাটালিয়ন যেখানে একাধিক জেলার দায়িত্বে থাকে, সেখানে কক্সবাজারের জন্য আলাদা একটি ব্যাটালিয়ন দায়িত্ব পালন করছে।
গতকাল শনিবার রাতে যোগাযোগ করা হলে র্যাবের মহাপরিচালক এ কে এম শহিদুর রহমান বলেন, নিয়মিত বদলির অংশ হিসেবে কয়েকদিন ধরে চার শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীকে র্যাবের বিভিন্ন ইউনিটে বদলি করা হয়েছে। তবে কোনো সদস্যের সঙ্গে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
র্যাবের আরও একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে কক্সবাজারে ইয়াবা কারবারসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে কিছু র্যাব সদস্যের নাম জড়িত থাকার অভিযোগ উঠে। এক মাস ধরে এ বিষয়ে অভ্যন্তরীণ তদন্ত চলেছে। গুরুতর অভিযোগের প্রেক্ষিতে কক্সবাজার র্যাবের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল কামরুল ইসলামকে র্যাব সদর দপ্তরে বদলি করা হয়েছে। একই সঙ্গে র্যাব-১৫–এর উপ–অধিনায়ক ও অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীও বিভিন্ন ইউনিটে বদলি করা হয়েছে। পাশাপাশি সমসংখ্যক সদস্যকে অন্য ইউনিট থেকে র্যাব-১৫ কক্সবাজারে স্থানান্তর করা হয়েছে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন