[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

ঝিনাইদহে বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দলে ১৫ জন আহত, এলাকায় উত্তেজনা

প্রকাশঃ
অ+ অ-
ঝিনাইদহ বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহতদের কয়েজন ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন   

আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ঝিনাইদহে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। আজ সোমবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে সদর উপজেলার কলামনখালী বাজারে জেলা বিএনপির সহসভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আসাদ চৌধুরী এবং আরাফাত রহমান কোকো ক্রীড়া পরিষদের নেতা মাসুদ জোয়ার্দারের সমর্থকদের মধ্যে এই সংঘর্ষ হয়।

আহতদের মধ্যে আবদুর রহিম মোল্লা, বিসারত জোয়ার্দার, হাসেম আলী, গোলাম রসুল, সুরুজ, ইয়ালিদসহ ১০ জনকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসক সুলতানা মেফতাহুল জান্নাত বলেন, আহতদের শরীরে ধারালো অস্ত্র ও ইটের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে, তবে কেউ আশঙ্কাজনক নন।

স্থানীয়দের ভাষায়, কলামনখালী এলাকায় আধিপত্য নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আসাদ চৌধুরী ও মাসুদ–নাঈম পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলছিল। কয়েক দিন আগেও উভয় পক্ষের মধ্যে তর্ক–বিতর্ক হয়। তারই জেরে আজ সকালে বাজারে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায় দুই পক্ষ। এতে অন্তত ১৫ জন আহত হন।

ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি সামছুজ্জোহা বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিসারত জোয়ার্দার বলেন, মাসুদ পক্ষের লোকজন গ্রামের উত্তর পাড়ার আসাদ পক্ষের কয়েকজনকে বাড়ি থেকে বের করে দেন। আমিরুল নামের এক ব্যক্তিকে মারধর করে পা ভেঙে দেওয়া হয়। এ নিয়ে সমাধানের চেষ্টা হলেও নেতারা ব্যবস্থা নেননি, তাই সকালে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

জেলা বিএনপির সহসভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আসাদ চৌধুরী বলেন, ‘মাসুদের লোকজন কিছুদিন আগে আমাদের সমর্থক আমিরুলের পা ভেঙে দেয় এবং বাজার দখল করে রাখে। আজ সকালে তারা বাজারের দোকান বন্ধ করে দেয়। এরপরই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।’

অভিযোগ অস্বীকার করে আরাফাত রহমান কোকো ক্রীড়া পরিষদের ঝিনাইদহ সদর উপজেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুদ বলেন, ‘বাজার দখল বা দোকান বন্ধের ঘটনা ঘটেনি। তারা মিথ্যা অভিযোগ দিচ্ছে। আমিরুলকে আমরা মারিনি, পারিবারিক বিরোধের কারণেই তার পরিবারের লোকজন তাকে মেরেছে।’

জেলা বিএনপির সভাপতি এম এ মজিদ বলেন, এলাকায় আধিপত্য নিয়ে তাঁদের মধ্যে দীর্ঘদিনের বিরোধ ছিল। এটি রাজনৈতিক কোনো ঘটনা নয়।

একটি মন্তব্য করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন