শরীয়তপুরে বিএনপি সমর্থকদের বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ

শরীয়তপুর–১ আসনের বিএনপির প্রাথমিক প্রার্থিতা পরিবর্তনের দাবিতে শরীয়তপুর–ঢাকা সড়ক অবরোধ করে মশাল মিছিল নিয়ে বিক্ষোভ। শুক্রবার জেলা শহরের উত্তর বাজার এলাকায় | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

শরীয়তপুর–১ আসনে (সদর-জাজিরা) বিএনপির প্রাথমিক মনোনীত প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে মশালমিছিল করেছেন দলের স্থানীয় এক নেতার অনুসারীরা। শুক্রবার সন্ধ্যায় শরীয়তপুর-ঢাকা সড়কে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য সরদার এ কে এম নাসির উদ্দিন ওরফে কালুর সমর্থকেরা এ কর্মসূচি পালন করেন। এ সময় দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।

এই আসনে জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদ আহমেদ আসলাম প্রাথমিকভাবে মনোনীত হয়েছেন। তিনি শরীয়তপুর–৩ আসনের ডামুড্যা উপজেলার বাসিন্দা। আন্দোলনকারীরা তাঁর প্রার্থিতা পরিবর্তনের দাবি জানিয়েছেন।

শরীয়তপুর–১ আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন এ কে এম নাসির উদ্দিন, কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি আমজাদ সওদাগর এবং জেলা বিএনপির সাবেক কোষাধ্যক্ষ মজিবুর রহমান। সাঈদ আহমেদকে প্রাথমিকভাবে মনোনয়ন দেওয়ার পর স্থানীয় বিএনপির মধ্যে প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। নাসির উদ্দিনের সমর্থকরা বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ দেখান। গতকাল বৃহস্পতিবারও তারা শরীয়তপুর-ঢাকা সড়কের জাজিরার কাজীরহাট এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছিলেন।

আজ সন্ধ্যায় নাসির উদ্দিনের সমর্থকেরা জেলা শহরের ধানুকা এলাকায় শরীয়তপুর-ঢাকা সড়কে জড়ো হন। তারা মশালমিছিল নিয়ে জেলা শহরের ওই সড়কের এক কিলোমিটারজুড়ে অবরোধ করেন। জেলা প্রশাসকের বাসভবনের সামনে থেকে মশালমিছিল শুরু হয়ে সদর থানার কাছে গিয়ে শেষ হয়। অবরোধের কারণে অন্তত এক ঘণ্টা সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে। এতে শহরে দুই কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট তৈরি হয়।

শরীয়তপুর পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আলী আজম সরদার বলেন, ‘শরীয়তপুর–১ আসনে অন্য একটি নির্বাচনী এলাকা থেকে একজন নেতাকে এনে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। ত্যাগী নেতাকে বাদ দেওয়া হয়েছে, যা আমরা মানতে পারছি না। মনোনয়ন পরিবর্তন না করা পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।’

সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক নাজমুল ছৈয়াল বলেন, ‘সাঈদ আহমেদ জেলা পর্যায়ের নেতা হলেও তিনি শরীয়তপুর–৩ নির্বাচনী এলাকার বাসিন্দা। ঢাকাকেন্দ্রিক ব্যবসায়ী। মাঠপর্যায়ের রাজনীতিতে তাঁর উপস্থিতি একেবারেই কম। এমন একজন ব্যক্তিকে মনোনয়ন দেওয়ায় তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা হতাশ হয়েছেন। আমরা যে নেতাকে সংকটের সময় পাশে পাই, তাঁকেই মনোনয়ন দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।’

দলের প্রাথমিক মনোনীত প্রার্থী সাঈদ আহমেদ আসলাম এবং জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিনের এ বিষয়ে বক্তব্য জানার জন্য তাদের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও ধরেননি।

শরীয়তপুর জেলা বিএনপির সহসভাপতি সিরাজুল হক মোল্যা বলেন, ‘মনোনয়নবঞ্চিত এক নেতার সমর্থকেরা আন্দোলন করছেন। দল যাঁকে ভালো মনে করেছে, তাঁকে মনোনয়ন দিয়েছে। এখন দলের সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়াই উচিত হবে। আমরা তৃণমূলের নেতার দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে ধানের শীষ প্রতীকের পক্ষে রয়েছি।’