[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ৪০৩ নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ

প্রকাশঃ
অ+ অ-
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় | ফাইল ছবি

২০২৪ সালের জুলাই মাসে ঢাবি ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ ৪০৩ জন নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। নোটিশে বলা হয়েছে, সাত কার্যদিবসের মধ্যে জবাব না দিলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে একতরফা ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সহিংসতায় জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করে তথ্যানুসন্ধান কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ১২৮ শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। পরে গঠিত তদন্ত কমিটির দ্বিতীয় সভায় মোট ৪০৩ শিক্ষার্থীর সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ওই সময় সংঘটিত অপরাধের জন্য কেন তাঁদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না, তা লিখিতভাবে জানাতে হবে। সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রক্টর দপ্তরে জবাব না দিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুযায়ী একতরফা ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

যাঁদের কাছে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হয়েছে, তাঁদের মধ্যে আছেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী ইনান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন, সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতসহ সব হলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।

এ তালিকায় আরও রয়েছেন স্যার এ এফ রহমান হলের সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মুনেম শাহরিয়ার মুন, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের আযহারুল ইসলাম মামুন, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের কামাল উদ্দীন রানা ও মিশাত সরকার, হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের শহিদুল হক শিশির ও মোহাম্মদ হোসেন, সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের তানভীর শিকদার, বিজয় একাত্তর হলের সজীবুর রহমান ও আবু ইউনুস, জগন্নাথ হলের কাজল দাস ও অতনু বর্মন, সূর্য সেন হলের মারিয়াম জামান খান সোহান ও সিয়াম রহমান, ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হলের জাহিদুল ইসলাম ও শরীফ আহনেদ মুনিম, অমর একুশে হলের এনায়েত এইচ মনন ও ইমদাদুল হক সোহাগ, ফজলুল হক মুসলিম হলের আনোয়ার হোসেন নাঈম ও আবু হাসিব মুক্ত।

ছাত্রী হলগুলোর মধ্যে রয়েছেন রোকেয়া হলের সভাপতি অন্তরা দাস পৃথা ও সাধারণ সম্পাদক আতিকা বিনতে হোসাইন, শামসুন নাহার হলের খাদিজা আক্তার ও নুসরাত রুবাইয়াত নীলা, শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের কোহিনূর আক্তার রাখি ও সানজিনা ইয়াসমিন, বেগম সুফিয়া কামাল হলের পূজা কর্মকার ও সভাপতি রিমা আক্তার ডলি, কুয়েত মৈত্রী হলের সভাপতি রাজিয়া সুলতানা কথা ও সাধারণ সম্পাদক জান্নাতুল হাওয়া আঁখি।

জানতে চাইলে প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমেদ বলেন, যাঁদের ছাত্রত্ব শেষ হয়েছে, তাঁদের সনদ বাতিলের জন্য সুপারিশ করা হবে। এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট। তিনি জানান, নোটিশটি মঙ্গলবার থেকে কার্যকর হয়েছে।

একটি মন্তব্য করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন